সংক্ষিপ্ত

  • রাজ্যের বেশিরভাগের শরীরে থাবা বসিয়েছিল ডেল্টা
  • করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের নেপথ্যে ছিল ডেল্টা
  • রাজ্যে ৭০ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছিলেন ডেল্টার মাধ্যমে
  • এমনটাই জানালেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের দাপটে নাজেহাল দেশবাসী। এই পরিস্থিতিতে করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর তার মধ্যেই চোখ রাঙাচ্ছে করোনার নতুন প্রজাতি ডেল্টা প্লাস। ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে এই প্রজাতির ফলে সংক্রমিত হচ্ছেন বহু মানুষ। দেশের একাধিক রাজ্যেও এই প্রজাতির খোঁজ মিলেছে। তবে বাংলাতেও এই প্রজাতি থাবা বসিয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি।

আরও পড়ুন- করোনার তৃতীয় তরঙ্গ এলেও চিন্তা নেই, বিরাট আশ্বাস ভারত-ইংল্যান্ডের যৌথ গবেষণায়

কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের একাধিক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ডেল্টা প্রজাতির স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গ। দেশের মধ্যে ডেল্টা সংক্রমণের নিরিখে চতুর্থ স্থানে রয়েছে বাংলা।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের নেপথ্যে ছিল এই প্রজাতি। খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছিল এর সংক্রমণ। করোনার স্ট্রেনগুলির মধ্যে সংক্রমণের নিরিখে সবথেকে বেশি শক্তিশালী ছিল এই ডেল্টা প্রজাতি। করোনার দ্বিতীয় পর্বে বাংলায় যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে ৭০ শতাংশ রোগীর শরীরেই ডেল্টা থাবা বসিয়েছিল বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। 

আরও পড়ুন- করোনা ছড়িয়ে পড়েছিল বলে সন্দেহ, বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ সম্মানের জন্য মনোনীত সেই ইউহান ল্যাব

তিনি আরও জানিয়েছেন, দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনায় আক্রান্ত প্রাপ্ত বয়স্কদের মধ্যে ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশের দেহেই ডেল্টা প্রজাতি পাওয়া গিয়েছে। শিশুদের মধ্যে এই সংখ্যাটা প্রায় ৮৫ শতাংশ। তবে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে কারও শরীরে ডেল্টা প্লাসের ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন- টিকা নিতে গিয়ে ভয়ে কাঁদো কাঁদো এক মহিলা, ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ভাইরাল হল নেট দুনিয়ায়.

তবে গোটা দেশেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের গতি এখন অনেকটাই নিম্নমুখী। কিন্তু, এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডেল্টা প্লাস। মধ্যপ্রদেশ, কেরালা ও মহারাষ্ট্রে ইতিমধ্যেই এই প্রজাতির দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত হয়ে মধ্যপ্রদেশে একজনের মৃত্যুও হয়েছে। আর সেটাই ডেল্টা প্লাসে আক্রান্ত হয়ে ভারতে প্রথম মৃত্যু।