সংক্ষিপ্ত
- বেশিরভাগ স্কুল হচ্ছে অনলাইনে
- বিধাননগর সরকারি হাইস্কুলের ক্লাসও হচ্ছে অনলাইনে
- এক শিক্ষককে খালি গায়ে ক্লাস নিতে দেখা গিয়েছে
- তাঁর পরনে প্যান্ট থাকলেও ঊর্ধ্বাঙ্গ ছিল সম্পূর্ণ অনাবৃত
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বন্ধ রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আর সেই কারণে বেশিরভাগ স্কুল হচ্ছে অনলাইনে। বিধাননগর সরকারি হাইস্কুলের ক্লাসও হচ্ছে অনলাইনে। কিন্তু, অনলাইনে ক্লাস করতে গিয়ে এক খারাপ অভিজ্ঞতার শিকার হল পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন- ফের 'কাটমানি'-র তিরে বিদ্ধ তৃণমূল, ভিডিও ভাইরাল হতেই কটাক্ষ BJP-র
হাইস্কুলের শিক্ষককে খালি গায়ে ক্লাস নিতে দেখা গিয়েছে। তাঁর পরনে প্যান্ট থাকলেও ঊর্ধ্বাঙ্গ ছিল সম্পূর্ণ অনাবৃত। এরপরই এই বিষয় নিয়ে আপত্তি জানান স্কুলের অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং বেশ কিছু অভিভাবক। তারপরই স্কুলের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, অনলাইনে ক্লাস চলাকালীন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ফর্মাল পোশাক পরতে হবে। তাছাড়া অন্য কোনও পোশাক তাঁরা পরতে পারবেন না।
এদিকে যাঁকে নিয়ে এই বিতর্ক তৈরি হয়েছে তিনি ওই স্কুলের ইতিহাসের শিক্ষক। গতবছর রাজ্য সরকারের শিক্ষারত্ন সম্মান পেয়েছেন তিনি। গত বছর মার্চে দেশে থাবা বসিয়েছিল করোনা। সেই সময় পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কারণ জমায়েত থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। করোনার প্রথম ঢেউয়ের দাপট কিছুটা কমার পর উঁচু ক্লাসের শিক্ষার্থীদের স্কুল শুরু করেছিল রাজ্যগুলি। কিন্তু, কয়েকদিন যেতে না যেতেই ফের দেশে আছড়ে পড়েছিল করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। সেই কারণে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফের স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে এখন বাড়িতে বসেই দিন কাটছে পড়ুয়াদের। একইভাবে অনলাইনে ক্লাস হচ্ছে বিধাননগর সরকারি হাইস্কুলেরও।
আরও পড়ুন- করোনার তৃতীয় তরঙ্গ এলেও চিন্তা নেই, বিরাট আশ্বাস ভারত-ইংল্যান্ডের যৌথ গবেষণায়
ওই স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা কয়েক দিন আগে খেয়াল করেন যে অনলাইনে ক্লাস চলাকালীন ইতিহাসের শিক্ষকের গায়ে কোনও জামা নেই। এরপর স্কুলের অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একাংশ বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে আপত্তি জানান। বিষয়টি জানতে পারার পর এক অভিভাবকও প্রধান শিক্ষককে ফোন করেন। তারপরই স্কুলের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তাতে লেখা হয়েছে, যখন অনলাইনে শিক্ষক-শিক্ষিকারা ক্লাস নেবেন, তাঁরা যেন যথাযথ পোশাক পরেন। আর যথাযথ পরিবেশের মধ্যে থেকে ক্লাস নেন। সেই ক্লাস যেন অবশ্যই বিষয়ের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হয়। হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ক্লাস নিলে যে-মেসেজ পাঠানো হবে, তা-ও যেন বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়। প্রধান শিক্ষক ওই সব ক্লাসে অনলাইনে ঢুকতে পারেন। এ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক বলেন, "ওই শিক্ষক অনিচ্ছাকৃত ভাবে হয়তো ওই কাজ করে ফেলেছেন। পরে উনি দুঃখ প্রকাশও করেছেন।"