সংক্ষিপ্ত
- করোনার প্রকোপ এবার ঈদের বাজারে
- আংশিক লকডাউনের জেরে বন্ধ দোকানপাট
- ঈদের মরশুমে কেনাবেচা বন্ধ
- চরম ক্ষতির মুখে রায়গঞ্জের ব্যবসায়ীরা
করোনার প্রকোপ এবার ঈদের বাজারে। আংশিক লকডাউনের জেরে দিনের বেশীরভাগ সময়ই বন্ধ থাকছে দোকানপাট। করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় রাস্তায় বের হচ্ছেন না সাধারন মানুষ। ফলে উৎসবের মরশুমে ব্যাপক মন্দার মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন রায়গঞ্জের কাপড় ও রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসায়ী থেকে দোকানের কর্মচারীরা।
ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে উৎসবের মরশুমে দোকানপাট খোলার সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে। ২০২০ সাল থেকেই করোনা বিপর্যয়ে পড়েছে রাজ্যের সব ধরনের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। গতবারের পুজোয় সেভাবে ব্যবসা হয়নি। ব্যবসায়ীরা আশায় ছিলেন বিষের বিশ সাল পার হলে নতুন বছরের উৎসবের মরশুমগুলোতে বিকিকিনি বাড়বে। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে চলতি বছরেও।
রাজ্য সরকার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে কিছু বিধিনিষেধ ও আংশিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সকাল ৭ টা থেকে বেলা ১০ টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত বাজার ও দোকানপাট খোলা থাকবে বলে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। বাকি সময় দোকানপাট সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে চরম বিপাকে পড়েছেন কাপড় ও রেডিমেড গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা। সকাল ৭টায় দোকান খুললেও সেসময় কোনও ক্রেতাই আসে না। বেলা ১০ বাজতেই বন্ধ করে দিতে হচ্ছে দোকান, ফলে কোনও কোনও দিন এক টাকাও বিক্রি হয় না।
সারাদিন বন্ধ রাখার পর বিকেল ৫ টায় দোকান খুললেও শহরের দুএকজন খদ্দের ছাড়া আর কারও দেখা মেলে না বলে জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বস্ত্র ব্যবসায়ী সুমন দাস জানিয়েছেন, মূলত শহর সংলগ্ন গ্রামগঞ্জ থেকে ক্রেতারা রায়গঞ্জ শহরে কেনাকাটা করতে আসেন। কিন্তু তাঁরা যেসময় শহরে আসেন সেসময়ই আংশিক লকডাউনের জন্য দোকানপাট বন্ধ রাখতে হয়। ফলে ফিরে চলে যাচ্ছেন গ্রামগঞ্জের খদ্দেররা। মূলত গ্রামগঞ্জ থেকে আসা খদ্দেরদের উপরই নির্ভর করে রায়গঞ্জ শহরের বিভিন্ন দোকানের ব্যবসা।
তাই রীতিমত সমস্যায় পড়েছেন শহরের ব্যবসায়ীরা। ঈদের মরশুমে আংশিক লকডাউনের কারনে তাঁরা ব্যবসাই করতে পারলেন না বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। এভাবে চললে তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন কাপড় ও রেডিমেড গার্মেন্টসের দোকানিরা। তাই দাবি উঠেছে হাট বাজার দোকানপাট খোলার সময়সীমা বাড়ানোর। কারন ব্যবসা না হলে ভেঙে পড়বে পুরো অর্থনৈতিক পরিকাঠামো।