সংক্ষিপ্ত
শুধু কলকাতাতেই রবিবার সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে এক ধাক্কায়। পৌঁছে গিয়েছে নয় হাজারের কাছে।
পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) এক দিনের করোনা সংক্রমণের (Corona Situation) সব আগের রেকর্ড (Record) ভেঙে দিয়েছে। সর্বকালের সর্বোচ্চ ২৪,২৮৭ জন নতুন করে করোনা আক্রান্তের খবর মিলেছে রবিবার (one-day corona infection)। যা ২০২০ সালে সংক্রমণের প্রথম তরঙ্গের পরে সর্বোচ্চ সংখ্যা বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে, প্রথম ও দ্বিতীয় তরঙ্গের সব রেকর্ড ভেঙেছে কলকাতার করোনা সুনামি।
করোনার প্রথম তরঙ্গের সময় ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ছুঁয়েছিল ৪ হাজার ১৫৭। এর পর ২০২১ সালের চৌঠা মে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় তরঙ্গের সময় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ২০ হাজার ৮৪৬। এ বার ওই নজিরও টপকে গেল কোভিডের সাম্প্রতিক স্ফীতি। একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল প্রায় ২৫ হাজার।
শুধু কলকাতাতেই রবিবার সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে এক ধাক্কায়। পৌঁছে গিয়েছে নয় হাজারের কাছে। কলকাতা সংলগ্ন হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে গেল। রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণের হার গড়ে পৌঁছে গেল ৩৪ শতাংশের কাছে। বাংলায় সক্রিয় রোগী প্রায় ৮০ হাজার। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনাতেও। হাওড়ায় আগেই হাজারের গণ্ডি পেরিয়েছিল সংক্রমণ।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ২৪ হাজার ২৮৭ জন। কলকাতায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৭১২ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৫৩ জন। হাওড়ায় দৈনিক সংক্রমণ এক লাফে হল ১ হাজার ৭৪২। হুগলি এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হাজারের গণ্ডি টপকে নতুন আক্রান্ত যথাক্রমে ১ হাজার ২৭৬ জন এবং ১ হাজার ৩৪ জন।
দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই থাকছে ঊর্ধ্বমুখী। আর এই পরিস্থিতির মধ্যে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক ও পুলিশকর্মীরা। তবে সবথেকে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কলকাতা। কারণ সেখানেই আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। দেশের ৭২১টি জেলাকে পিছনে ফেলে শুধু কলকাতায় পজিটিভিটি রেট পৌঁছে গিয়েছে ৫৫ শতাংশে। প্রতি দু'জনের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন একজন করে। আর তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে।
পজিটিভিটি রেট বেশি থাকার ফলে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে কোনও জেলায় যদি পজিটিভিটি রেট টানা ২ সপ্তাহের বেশি থাকে তাহলে সেখানে জেলা প্রশাসনের তরফে লকডাউনের মতো বিধিনিষেধ জারি করতে হবে। যেমন, হাওড়ায় ১ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত পজিটিভিটি রেট ছিল ৪২ শতাংশ।