সংক্ষিপ্ত

বেশ কয়েকদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাড়ি থেকে বের হননি রাজ্য বিজেপি সভাপতি। শনিবার দলের বেশ কয়েকটি বৈঠক ভার্চুয়াল মাধ্যমে করেন বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর। 

রাজ্য বিজেপি সভাপতি (State BJP President) সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) করোনা আক্রান্ত (Covid Positive)। শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ (Oxyzen Level) বেশ কমে যাওয়ায় রবিবার (Sunday) তাঁকে সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ( hospitalized) করতে হয়। তাঁর শরীরে করোনার নানা উপসর্গ রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। তিনি গুরুতর অসুস্থ। 

বেশ কয়েকদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাড়ি থেকে বের হননি রাজ্য বিজেপি সভাপতি। শনিবার দলের বেশ কয়েকটি বৈঠক ভার্চুয়াল মাধ্যমে করেন বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর। শনিবার রাত থেকেই বেশ অসুস্থ বোধ করায় করোনা পরীক্ষা করা হয় তাঁর। রবিবার রিপোর্ট এলে দেখা যায় তিনি করোনা পজেটিভ। এরপরেই পরিবারের তরফে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। 

বিজেপি সূত্রে খবর তাঁকে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে রবিবার সন্ধে ৭টা নাগাদ ভর্তি করা হয়। তাঁর শরীরে আচমকাই অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটা নেমে যাওয়াতেই হাসপাতালে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। বেশ কয়েকদিন ধরেই মৃদু জ্বর ও সর্দি ছিল সুকান্তের। 

এদিকে, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই থাকছে ঊর্ধ্বমুখী। আর এই পরিস্থিতির মধ্যে সবথেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক ও পুলিশকর্মীরা। তবে সবথেকে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কলকাতা। কারণ সেখানেই আক্রান্তের সংখ্যা সর্বাধিক। দেশের ৭২১টি জেলাকে পিছনে ফেলে শুধু কলকাতায় পজিটিভিটি রেট পৌঁছে গিয়েছে ৫৫ শতাংশে। প্রতি দু'জনের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন একজন করে। আর তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কপালে। 

তবে শুধুমাত্র কলকাতাই নয়, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সংক্রমণ বাড়ছে রাজ্যের আরও ১১টি জেলায়। তার মধ্যে হাওড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, মালদহ, দার্জিলিং, হুগলি, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায়। এই সব জেলাতেই ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারির মধ্যে বেড়েছে পজিটিভিটি রেট। সব জায়গাতেই পজিটিভিটি রেট বেড়ে ১০ শতাংশের বেশি রয়েছে। 

পজিটিভিটি রেট বেশি থাকার ফলে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে কোনও জেলায় যদি পজিটিভিটি রেট টানা ২ সপ্তাহের বেশি থাকে তাহলে সেখানে জেলা প্রশাসনের তরফে লকডাউনের মতো বিধিনিষেধ জারি করতে হবে। যেমন, হাওড়ায় ১ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত পজিটিভিটি রেট ছিল ৪২ শতাংশ। 

রাজ্যের আরও ১২টি জেলায় পজিটিভিটি রেট কয়েক সপ্তাহ ধরেই ১০ শতাংশের উপরে রয়েছে। আর সেই কারণেই রাজ্যে জারি রয়েছে কড়া বিধিনিষেধ। কিন্তু, তা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত উদাসীন রয়েছেন বহু মানুষ। বাজারে দোকানে এখনও পর্যন্ত একাধিক মানুষের মুখে মাস্কের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে বেশ কিছু জেলায় বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।