সংক্ষিপ্ত
- বেঙ্গালুরু থেকে সটান রায়গঞ্জের বাড়িতে
- কোয়ারেন্টাইনে থাকতে রাজি নন তরুণী
- সরকারি নির্দেশ পালন করতে গিয়ে 'আক্রান্ত' পুরকর্মীরা
- পুলিশে অভিযোগ দায়ের কাউন্সিলরের
ভিন রাজ্য থেকে ফিরেছে মেয়ে। বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন পোস্টার লাগাতে গিয়ে 'আক্রান্ত' হলেন পুরসভার কর্মীরা। শুধু তাই নয়, সরকারি নির্দেশিকা সম্বলিত সেই পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে নাকি এলাকায় ঘুরেও বেড়াচ্ছেন পরিবারের লোকেরা! ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন কাউন্সিলর।
আরও পড়ুন: সরকারি নির্দেশকে বুড়ো আঙুল, লকডাউনেও ছুটি নেই গ্লাস কারখানার শ্রমিকদের
কী ব্যাপার? রায়গঞ্জ শহরের নেতাজিপল্লি এলাকায় থাকেন জয়ন্ত সোম। তাঁর মেয়ে বেঙ্গালুরু থেকে ফিরেছেন সোমবার। অন্তত তেমনই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। কিন্তু করোনা আতঙ্কে যখন সরকারি নির্দেশ মেনে সকলেই নিজেদের গৃহবন্দি করে রেখেছেন, তখন জয়ন্ত, তাঁর মেয়ে ও পরিবারের লোকেরা স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা করছেন না বলে অভিযোগ। এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। রায়গঞ্জ পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের সুপারভাইজার শীলা অধিকারীর দাবি, 'সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পরিবারের সকলকেই বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছিল। এমনকী, তারিখ-সহ বাড়ির দেওয়ালে কোয়ারেন্টাইনের পোস্টারও লাগিয়ে দিয়ে এসেছিলেন পুরসভার কর্মীরা। কিন্তু যেদিন পোস্টার লাগানো হয়, সেদিন রাতে বাড়ির লোকেরাই পোস্টারটি ছিঁড়ে ফেলেন।' পরের দিন ফের পোস্টার লাগাতে গেলে, পুরসভার কর্মীদের অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ, এমনকী মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই গোটা ঘটনাটি স্থানীয় কাউন্সিলর রতন কর্মকারকে জানান পুরসভার কর্মীরা। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
এদিকে এই ঘটনার রীতিমতো আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের আশঙ্কা, জয়ন্ত সোম ও তাঁর পরিবারের বেপরোয়া আচরণে যেকোনও সময়ে বড় কোনও অঘটন ঘটতে পারে। ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা ভাইরাসও। রায়গঞ্জের নেতাজিপল্লিতে যাঁরা থাকেন, তাঁরা পালা করে ওই বাড়ির উপর নজর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পুলিশের তরফে ওই পরিবারের সদস্যদের সরকারি নির্দেশ মেনে চলার বিষয়ে চরম হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা বিপর্যয়ে মন ভারাক্রান্ত, বাড়িতে আইসোলেশন ওয়ার্ড গড়তে চান চুঁচুড়ার বিশ্বজিৎ
করোনা আতঙ্ক ছড়িয়েছে এ রাজ্যে। সরকারের তরফে নির্দেশ জারি করা হয়েছে, ভিন রাজ্য বা বিদেশ থেকে যাঁরা ফিরছেন, তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। ১৪ দিন আলাদা থাকতে হবে নিজের বাড়িতেই। শুধু তাই নয়, এলাকার মানুষকে সতর্ক করতে পোস্টার লাগানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুরসভা কিংবা পঞ্চায়েত কর্মীদের। সেই নির্দেশ মানতে গিয়েই রায়গঞ্জ পুরসভার কর্মীরা আক্রমণের মুখে পড়েছেন বলে অভিযোগ।