সংক্ষিপ্ত
কোভিড-১৯ (Covid-19) মহামারির শুরু থেকে সর্বোচ্চ দৈনিক নতুন সংক্রমণ রিপোর্ট করল চিন (China)। সাংহাই (Sanghai)-সহ ১১টি চিনা শহরে জারি করা হল লকডাউন (Lockdown)।
ফের বাকি বিশ্বে কোভিড-১৯ (Covid-19) আতঙ্ক বাড়ছে চিনকে (China) কেন্দ্র করে। মঙ্গলবার, চিন থেকে ৫,২৮০ টি দৈনিক নতুন কোভিড সংক্রমণ রিপোর্ট করা হয়েছে। অর্থাৎ, সোমবার চিনে দৈনিক নতুন সংক্রমণের সংখ্যা যা ছিল, তার দ্বিগুণেরও বেশি তো বটেই, চিনে দৈনিক নতুন সংক্রমণের সংখ্যা মহামারি শুরু থেকে বর্তমানে সর্বোচ্চ। এই নিয়ে টানা ষষ্ঠ দিন, চিনে দৈনিক নতুন সংক্রমণের সংখ্যা এক হাজারের বেশি থাকল।
সেই দেশের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে, সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর-পূর্ব দিকের জিলিন (Jilin) প্রদেশ। শুধু এই একটি প্রদেশেই সংক্রমণের সংখ্যা ৩,০০০-এরও বেশি রয়েছে। প্রদেশটি একেবারে উত্তর কোরিয়ার সীমান্ত লাগোয়া। সোমবারই, প্রদেশের বাইরে এবং এর আশেপাশের অঞ্চলে এখানকার বাসিন্দাদের ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সোমবার রাতে অনুষ্ঠিত একটি জরুরি বৈঠকে জিলিনের গভর্নর এক সপ্তাহের মধ্যে প্রদেশটিকে কোভিড-শূন্য করার অঙ্গীকার করেছেন।
২০১৯ সালের শেষ দিকে চিনের কেন্দ্রীয় শহর উহানে (Wuhan) প্রথম আবির্ভূত হয়েছিল করোনাভাইরাস মহামারি (Coronavirus Pandemic)। তারপর থেকে চিন সরকার, 'শূন্য-কোভিড' নীতি গ্রহণ করেছিল। অর্থাৎ, কোনও এলাকায় কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা ০ না হওয়া পর্যন্ত সেই এলাকাটিকে লকডাউনের (Lockdown) আওতায় রাখা হয়। এতদিন পর্যন্ত, এই কৌশলকে কাজে লাগিয়ে বড় আকারের প্রাদুর্ভাবকে দমন করেছে বেজিং (Beijing)।
এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নতুন করে কোভিড-১৯'এর উত্থান ঘটতেই, গোটা চিনে অন্তত ১১টি শহর ও কাউন্টিতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে সেনজেন (Shenzhen) প্রদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রযুক্তি কেন্দ্রটিও রয়েছে। এই এলাকায় প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ মানুষ বাস করেন। তারা সবাই এখন গৃহবন্দি। গাড়ি নির্মাতা ভক্সওয়াগেন গোষ্ঠীর (Volkswagen Group) এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, উত্তর-পূর্ব চিনের চাংচুন (Changchun) প্রদেশে তাঁদের একটি কারখানা তিন দিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে বেজিং এবং সাংহাই (Shanghai) বিমানবন্দর থেকে কয়েক ডজন দেশীয় উড়ান বাতিল করা হয়েছে। সাংহাই-সহ বেশ কয়েকটি বড় চিনা শহর ও তার আশেপাশের এলাকার ভবনগুলি সিল করে দেওয়া হয়েছে। চিনা স্বাস্থ্য আধিকারিকরা সতর্ক করে বলেছেন, প্রয়োজনে আরও কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হবে। তবে, এই বিধিনিষেধের প্রভাব পড়ছে চিনের অর্থনীতিতেও। হংকং স্টক মার্কেটের (Hong Kong Stock Market) সূচক এদিন ৩ শতাংশেরও বেশি কমেছে। প্রযুক্তি এবং জ্বালানী ক্ষেত্রে বড় ধস নেমেছে।