সংক্ষিপ্ত
- কোভিড-১৯ এখন বিশ্বব্যপী মহামারী হিসাবে দেখা দিয়েছে
- কিন্তু, সংক্রমণের শুরুটা হয়েছিল চিনের হুবেই প্রদেশে
- একেবারে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী নাকি বাদুড়ের সঙ্গে সঙ্গম করেছিলেন
- সেখান থেকেই গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগ
বাদুড়ের সঙ্গে সঙ্গম করেছিলেন কোভিড-১৯-এর 'পেশেন্ট জিরো'! পেশেন্ট জিরো অর্থাৎ, করোনাভাইরাস-এর প্রথম রোগী। চলতি মাসের শুরুতেই কোভিড-১৯ রোগের সংক্রমণকে বিশ্বব্যপী মহামারী হিসাবে ঘোষণা করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সারা বিশ্বই এখন করোনার কবলে চলে গেলেও, প্রথম কোভিড-১৯ রোগীর সন্ধান মিলেছিল চিনের হুবেই প্রদেশে। দক্ষিণ চিনের এই প্রদেশকে নিয়ে এখন আলোচনা তুঙ্গে। কীভাবে ভাইরাস ছড়ালো এখান থেকে, সেই নিয়ে চলছে জোর চর্চা। তারমধ্যেই চিনা কর্তৃপক্ষের নাম করে এমন চাঞ্চল্যকর দাবি করল 'ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেইলি রিপোর্ট' নামে একটি আন্তর্জাতিক অনলাইন নিউজ পোর্টাল।
তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী চিন সরকার জানিয়েছে, ইন দাও তাং নামে হুবেই প্রদেশের ২৪ বছরের যুবক নভেল করোনভাইরাস-এর প্রথম রোগী। গত ১৭ নভেম্বর তার দেহে এই সম্পূর্ণ নতুন করোনাভাইরাসটির সন্ধান মিলেছিল। চিনা কর্তৃপক্ষ থেকে নাকি বলা হয়েছে, বাদুড়-সহ বেশ কয়েকটি বন্য প্রাণীর সঙ্গে যৌনক্রিয়ায় লিপ্ত হওয়ার পরই তাং এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। 'ওয়ার্ল্ড নিউজ ডেইলি রিপোর্ট'-এর এই দাবির সত্যতা এশিয়ানেট নিউজ বাংলার পক্ষে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
তবে তাদের দাবি সত্যি হলে, গত বুধবার অর্থাৎ ২৫ মার্চ চিনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, 'পেশেন্ট জিরো' অর্থাৎ তাং বিভিন্ন প্রাণীর, বিশেষত বাদুড়ের সঙ্গে ওরাল সেক্স অর্থাৎ মুখগহ্বরে, যৌনাঙ্গে বা পায়ুপথে সঙ্গমে লিপ্ত ছিলেন। এভাবেই তাঁর দেহে করোনাভাইরাস-এর সংক্রমণ ঘটেছে বলে মনে করছে চিনা কর্তৃপক্ষ। এই আবিষ্কারের পরই নাগরিকদের, বিশেষ করে দেশের দক্ষিণ ভাগের নাগরিকদের চিনের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা কোনও প্রাণী, বিশেষত বাদুড়ের সঙ্গে যৌন সঙ্গম করা থেকে সাময়িকভাবে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।
দক্ষিণ চিনের বেশ কয়েকটি প্রদেশে, বাদুড় বেশ গুরুত্বপূর্ণ প্রাণী। হুবেই অঞ্চলে তো বেশ জনপ্রিয় একটি খাদ্য হিসাবে বাদুড়কে বিবেচনা করা হয়, সকলেরই জানা। কিন্তু এই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, শুধু খাদ্য নয়, এই অঞ্চলের মানুষের বিশ্বায় বাদুড় যৌন ক্ষুধা বাড়ায়, দীর্ঘায়ু করে, দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে এমনকী সৌভাগ্য এনে দেয়। তাই বাদুড়ের সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হওয়াটা এই অ়্ঞ্চলের চালু সংস্কৃতি। কিন্তু, এখন চিন সরকার জানিয়েছে, মহামারী পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত কেউ যদি পশুদের সঙ্গে সঙ্গম করেন, তাহলে তাকে জরিমানা বা কারাবাসের সাজা পেতে হতে পারে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাং-এর বাবা তাঁর ছেলের 'যৌন বিচ্যুতি'র জন্য গোটা বিশ্বকে এভাবে ভুগতে দেখে সকলের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি নাকি অভিযোগ করেছেন, চিনে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য মহিলার অভাব রয়েছে। শুধুই পুরুষে ভর্তি দেশ। তাঁর ছেলে সঙ্গমের জন্য পশুর দিকে তাকাতে একপ্রকার বাধ্য হয়েছিল। কারণ, সে উপযুক্ত স্ত্রী পায়নি। সমকামী হওয়ার চেয়ে প্রাণীদের সঙ্গে যৌন সংসর্গে লিপ্ত হওয়াটাই তার বেশি পছন্দ হয়েছিল।