সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে উম্বলডনঅভিনব সম্মান পেলেন কোভিড যোদ্ধারাভিডিও শেয়ার করল উম্বলডন কর্তৃপক্ষসেই ভিডিওকেই হাতিয়ার করল বিজেপি

সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে উম্বলডন টেনিস প্রতিযোগিতা। প্রথম দিনেই কোর্টে বিভিন্ন উত্থান-পতন ঘটেছে। তবে, উম্বলডনের প্রথম দিন সবথেকে বেশি হাততালি পেয়েছেন যিনি ও যাঁরা, তাঁরা কেউই খেলোয়ার নন, কোর্টেও ছিলেন না তাঁরা। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা তৈরির অন্যতম কারিগর প্রফেসর সারা গিলবার্ট এবং ইংল্যান্ডের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস বিভাগের কর্মীদের উম্বলডনে যেভাবে সম্মান জানানো হয়েছে, সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর সেই ভিডিওর রেশ ধরেই ভারতের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে বিধল বিজেপি।

উম্বলডনের সবুজ ঘাসের কোর্ট তখনও ফাঁকা। গ্যালারি ভর্তি দর্শক, কিন্তু কারোর মুখে মাস্ক নেই। অথচ, গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গে ইংল্যান্ডের অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিল, যে উইম্বলডন আয়োজনের কথা কল্পনাও করা যাচ্ছিল না। গত কয়েক মাসে এই বদলটা ঘটিয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা আর অক্সফোর্ড বিশ্ব বিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণায় তৈরি করোনাভাইরাস টিকা কোভিশিল্ড। সেই সঙ্গে এই করোনাকালে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন সেই দেশের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা বিভাগের ডাক্তার-নার্স এবং অন্যান্য কর্মীরা।

Scroll to load tweet…

এই কোভিড যোদ্ধাদের সম্মান জানাতে, উইম্বলডনের প্রথম দিন কোভিশিল্ডের অন্যতম প্রস্তুতকারক, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সারা গিলবার্ট এবং এনএইচএস-এর কয়েকজন প্রতিনিধিকে রয়্যাল বক্সে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আর টুর্নামেন্টের শুরুতেই হাততালি দিয়ে সম্মান জানানো হয় তাঁদের। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে ধীরে ধীরে বেড়েছে তালির জোর। আর একে একে দর্শকরা সকলে উঠে দাঁড়িয়েছেন। আড়াই মিনিটের এই ভিডিওটি টুইটারে পোস্ট করেছিল উইম্বলডন কর্তৃপক্ষ।

Scroll to load tweet…

এই ভিডিওটিই টুইটারে শেয়ার করে, রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র রাজীব চন্দ্রশেখর, ইংল্যান্ড এবং ভারতের পার্থক্যটা তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন, 'এনএইচএস-এর কর্মী এবং কোভিশিল্ড টিকার অন্যতম কারিগর অধ্যাপক সারা গিলবার্টকে যেভাবে উইম্বল্ডনে সম্মান জাানানো হল, দেখুন। ভারতে রাহুল এবং অখিলেশ-এর মতো বংশ পরম্পরায় যাঁরা রাজনীতি করেন, তাঁরা আমাদের ভ্যাকসিন এবং আমাদের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের যোদ্ধাদের সম্মান জানানোর প্রচেষ্টাকে কটাক্ষ করেছিলেন।'