সংক্ষিপ্ত
-মাস্কড আপ ইন্ডিয়া সকলের কাছে কতটা গ্রহনযোগ্য সেটার ওপর একটি সার্বে করা হয়েছে। উৎসবের মরশুমে মাস্ক পরা কতটা জরুরি আর ভ্রমনের ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধতামূলক কেন সেই বিষয়য়টি উঠে এসেছে সার্ভেতে।
আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা, তারপরই আলোর উৎসবে সামিল হবে দেশবাসী। তার আগে ডিজিটাল কমিউনিটি বেসড প্ল্যাটফর্ম(Digital Community based Platform), লোকাল সার্কেলের(Local Circle) তরফে একটা সমীক্ষা(Survey) করা হয়েছে। মাস্কড আপ ইন্ডিয়া(Masked Up India) সকলের কাছে কতটা গ্রহনযোগ্য সেটার ওপরই করা হয়েছে এই সার্ভেটি। উৎসবের মরশুমে মাস্ক পরা কতটা জরুরি আর ভ্রমনের ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধতামূলক কেন সেই বিষয়য়টিকেই উঠে এসেছে সার্ভেতে। সেখানে দেখা গেছে ২ শতাংশ ভারতবাসীর মতে, মাস্ক পরলেই সুরক্ষিত থাকবে দেশবাসী। ভারতের ৩৬৬টি জেলায় প্রায় ২০ হাজার মানুষের সার্ভে করে রেসপন্স পাওয়া গেছে ৩৯,০০০ মতো। ৩ শতাংশের মতে, কোভিড পরিস্থিতিতে সামাজীকিকরণ মানাটা অত্যন্ত জরুরি।
সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১ টি জেলা থেকে রেসপন্স পাওয়া গেছে ৪৭ শতাংশ, ২ টি জেলা থেকে পাওয়া গেছে ৩০ শতাংশ রেসপন্স, ৩ ও ৪ টি গ্রামীণ জেলা থেকে রেসপন্স এসেছে ২৩ শতাংশ। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশ রেসপন্স করেছেন পুরুষরা আর ৩৫ শতাংশ করেছেন মহিলারা। সেপ্টোম্বরে লোকাল সার্কেলের করা সার্ভে রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন জেলা ও শহর গুলোতে মাস্ক পরার প্রতি সকলেই দায়বদ্ধ। অন্যদিকে ৩০ শতাংশ মানুষের মতে, ভ্রমনের(Travel) সময় মাস্ক পরা অত্যাবশ্যক। ৩ শতাংশ মানুষের মতে, তাঁদের এলাকার জন্য সামাজীকিকরণ (social Distaining)অত্যন্ত জরুরি। ৯ শতাংশের মতে, এখনও ভ্রমমনের সময় সোশ্যাল ডিস্টেনিং পালন করা প্রয়োজন।
৬ জুলাই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রেকর( Union health ministry) কাছে পাঠানো হয় জুনের লোকাল সার্কেল সার্ভের রিপোর্ট। সেই রিপোর্টে দেখা গেছে ২৯ শতাংশ মানুষ মনে করছে বর্তমান পরিস্থিতিতে মাস্ক পরা অত্যন্ত জরুরি। ১১ শতাংশ মানুষের কাছে সোশ্যাল ডিস্টেনিং অমান্য করা উচিত নয়। লোকাল সার্কেলের অধিকর্তা শচীন থাপারিয়া(Sachin Taparia) জানিয়েছেন, মাস্কিং সন্মতির হার যেখানে ছিল ২৯ শতাংশ তা একধাক্কায় নেমে এসেছে ২ শতাংশে। আর সোশ্যাল ডস্টেনিং-র সন্মতির হার ১১ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৩ শতাংশ। এর থেকে স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যাচ্ছে, মানুষের মধ্যে সচেতনতা অনেকাংশে কমেছে।
ভ্রমনের ক্ষেত্রে সামাজীকিকরণ ক্রমশ যেন ফিকে হয়ে যাচ্ছে। অনেকেই এই বিষয়টিতে আলোকপাত করে লোকাল সার্কেলে এর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। বিশেষ করে দিল্লি ও মুম্বইতে লোকাল ডিস্টেনিং-র নিময়কানুন মানার ক্ষেত্রে ঢিলেমি দেওয়া হচ্ছে। সিকিওরিটি চেক, বোর্ডিং, বাস, বিমানবন্দর কোথাও সেভাবে কোভিড প্রোটোকল মানা হচচ্ছে না বলে জানিয়েছেন শচীন থাপারিয়া। বিশেষ করে দীপাবলি উৎসবের মরশুমে বাজি মার্কেটে যেরকম ভিড় চোখে পরছে ঠিক তেমনই জমায়েত দেখা যাচ্ছে প্রাইভেট পার্টিতেও যেখানে সামাজীকিকরণের লেস মাত্র চোখে পরছে না। ৩-৪ টি শহরে মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজনীতা ও কোভিড পরিস্থিতিতে কি ধরনের সতর্কতা মেনে চলতে হবে সেই বিষয়ে ফোকাস করতে হবে বলে মমনে করছে লোকাল সার্কেল। আর বেশ কিছু গ্রামীণ জেলার মানুষদের সুরক্ষার স্বার্থে একই পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।