সংক্ষিপ্ত
- লকডাউনে শিথিলতা আনতেই বেড়াতে যাওয়ার হিড়িক
- পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি ট্যুরিস্ট স্পটে প্রবেশে নিয়ম
- পর্যটকদের করাতে হবে করোনা পরীক্ষা
- ফল নেগেটিভ হবে তবেই মিলবে ঘুরে বেড়ানোর ছাড়পত্র
এবার বীরভূমের পর্যটন কেন্দ্র ঘুরতে গেলে করাতে হবে করোনা পরীক্ষা। সেই মতো জেলার ছয়টি প্রবেশ পথে করা হচ্ছে কিয়স্ক পয়েন্ট। সেখানে করোনা পরীক্ষা করার পরেই ছাড়পত্র পাওয়া যাবে পর্যটন কেন্দ্র কিংবা মন্দিরে।
বীরের ভূমি বীরভূম। জেলায় রয়েছে পাঁচটি সতীপীঠ। এছাড়াও রয়েছে শান্তিনিকেতনের মতো আন্তর্জাতিকমানের পর্যটন কেন্দ্র। লকডাউন কিছুটা শিথিল হতেই তারাপীঠ, কঙ্কালিতলা মন্দির এবং শান্তিনিকেতনে মানুষের ঢল শুরু হয়েছে।
এদিকে লকডাউনের কারণে বীরভূম জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা তলানিতে থেকেছে। বাইরে থেকে পর্যটকরা এসে যাতে বীরভূমে করোনা ছড়িয়ে দিতে না পারে তার জন্য কঠোর হয়েছে জেলা প্রশাসন। সোমবার সন্ধ্যায় বীরভূম জেলা শাসক বিধান রায় একটি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিয়েছেন তারাপীঠ, কঙ্কালিতলা এবং শান্তিনিকেতনে বেড়াতে গেলে আগে করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে শান্তিনিকেতন ঢোকার আগে বোলপুর পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাশীপুর বাইপাস, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জাম্বুনি টোল ট্যাক্সে করোনা পরীক্ষা করা হবে। কঙ্কালিতলা মন্দিরের পাশে একটা করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এছাড়া তারাপীঠ মন্দিরে যাওয়ার তিনটি প্রবেশ পথে করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র করা হয়েছে। একটি হচ্ছে রামপুরহাট ২ নম্বর ব্লকের সাহাপুর পঞ্চায়েতের ফুলিডাঙ্গা বাস টার্মিনাস। অন্য দুটি হল রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের খরুন গ্রাম পঞ্চায়েতের আটলা মোড় এবং বালিয়া মোড়ে।
তবে শুধুমাত্র কঙ্কালিতলা ছাড়া এখনও পর্যন্ত কোথাও কিয়স্ক পয়েন্ট করা হয়নি বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলা শাসক বিধান রায় বলেন, “আমরা চাইছি না বাইরে থেকে মানুষ এসে করোনা ছড়িয়ে যাক। তাই পর্যটকদের করোনা পরীক্ষা করার পর প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। যদি কারও শরীরে করোনার জীবাণু মেলে তাকে সেফ হোমে রাখা হবে। এছাড়া প্রতিটি পর্যটকের মুখে মাস্ক বাধ্যতামূলক। প্রত্যেক পর্যটকের হাতে দেওয়া হবে স্যানিটাইজার”।