সংক্ষিপ্ত

করোনাভাইরাসের এই মহামারির কারণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধনী-দরিদ্র সকলেই। এই প্রভাব যেমন পড়েছে ধনী দেশগুলিতে তেমনই বিপর্যস্ত অবস্থা আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশগুলির। 

করোনাভাইরাস (Coronavirus) মহামারীর (Pendemic) মৃত্যু  মিছিল অব্যাহত গোটা বিশ্বজুড়়ে। দুবছরেও কম সময় কোভিড ১৯- (COVID 19) এ আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃত্যু হয়েছে ৫০ লক্ষেরও বেশি মানুষের। গোটা বিশ্ব এখনও পর্যন্ত ত্রস্ত মারাত্মক ছোঁয়াছে এই ভাইরাসের জন্য। ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী শুক্রবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ৫,০১৬,৮৮০। দুবছরেরও বেশি সময় সময় ধরে করোনাভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে প্রায় গৃহবন্দি হয়ে রয়েছে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ। কিন্তু তাও এখনও পর্যন্ত রোধ করা যায়নি মহামারির দাপট। 

NASA: মহাশূন্যে লঙ্কা চাষে সফল্যের টুইট নাসার বিজ্ঞানীর, স্পেস স্টেশনে কী করে লঙ্কা চাষ হচ্ছে জেনে নিন

করোনাভাইরাসের এই মহামারির কারণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধনী-দরিদ্র সকলেই। এই প্রভাব যেমন পড়েছে ধনী দেশগুলিতে তেমনই বিপর্যস্ত অবস্থা আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশগুলির। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটেন, ব্রাজিল- মধ্য আয় থেকে উচ্চ আয়ের দেশগুলিতে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার আট শতাংশের বাস। রিপোর্ট বলছে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর অর্ধেক এই সমস্ত দেশের বাসিন্দা। শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মহামারিক কারণে মৃত্যু হয়েছে ৭৪০০০০ জনের। ইয়েল স্কুল অব পাবলিক হেলথের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আলবার্ট কো বলেছেন আমাদের নিজেদের রক্ষা করার জন্য কী করতে হবে তা নির্ধারণ করার সময় এসেছে। কারণ এই মুহুর্তে সচেতন না হলে আরও ৫০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু অনিবার্য। 

Gold Island: সোনায় মোড়া দ্বীপের সন্ধান, মুসি নদীর জলে হারিয়ে যাওয়া সভ্যতার গুপ্তধনের হদিশ

জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসেবে মৃত্যুর সংখ্যায়- লস অ্যাঞ্জেলেস আর সান ফ্রান্সিসকোর মিলিত জনসংখ্যার সমান। পিস রিসার্চ ইনস্টিউট আসলোর তথ্য অনুসারে ১৯৫০ সাল থেকে এপর্যন্ত যুদ্ধে নিহত মানুষের সংখ্যার সমান। গোটা বিশ্বে সবথেকে বেশি মানুষের মৃত্যু হয় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে। তারপর সবথেকে বেশি মানুষের মৃত্যুর কারণ স্ট্রোক। আর করোনা আক্রান্ত হয় মৃত্যু এখন  তৃতীয় স্থানে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন ভারতের মত বেশ কিছু দরিদ্র দেশ রয়েছে যেখানে করোনা আক্রান্ত অনেক ব্যক্তি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেন। সেই মৃত্যুর সংখ্যা অবশ্য এখনও পর্যন্ত গণনার আওতায় আনা হয়নি। গত ২২ মাস ধরে করোনা মহামারির সঙ্গে লড়াই করছে বিশ্ব। বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ স্থানই হটস্পট। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়াফা  বলেছেন মহামারিটি বিশ্বের ধনী দেশগুলিতে ব্যপক আঘাত করেছে। 

G-20: বিশ্ব উষ্ণায়ন কমানোর লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতি নেতাদের, কয়লা ব্যবহার কমানোই বড় চ্যালেঞ্জ

বিশেষজ্ঞদের মতে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অন্যতম হারিতার হল টিকা। কিন্তু সেই টিকা বন্টনেও রয়েছে ধনী-দরিদ্র বিভেদ স্পষ্ট হচ্ছে। প্রথমত বিশ্বের ধনীদেশগুলিকেই এর জন্য দায়ি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের একাধিক দেশ দেশের অধিকাংশ মানুষকে টিকার দুটি ডোজ দেওয়ার পর বুস্টার ডোজের দিকে ঝুঁকছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত আফ্রিকার লক্ষ লক্ষ মানুষ টিকা থেকে বঞ্চিত। যা মহামারি রুখতে আগামী দিনে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। আফ্রিকাই বিশ্বের সবথেকে কম টিকাপ্রাপ্ত অঞ্চল। ১.৩ বিলিয়ন জনসংখ্যার মাত্র ৫ শতাংশই এখনও পর্যন্ত টিকার দুটি ডোজ পেয়েছে। 

YouTube video player