সংক্ষিপ্ত

 

  • স্যানিটাইজারের ক্ষতিকর উপাদান ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলছে শরীরে 
  • করোনায় স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া মাস্ট
  • স্যানিটাইজার থেকেই অন্ধত্ব চলে আসতে পারে
  • অতিরিক্ত স্যানিটাইজার ব্যবহারে কোমায় পর্যন্ত চলে যেতে পারেন  

 করোনা আতঙ্কে জেরবার বিশ্ববাসী । মাস্ক যেন সকলের মুখে। রাস্তা তো দূর ঘরের ব্যালকনিতে দাঁড়ালেও যেন মাস্কেই ভরসা। তবে শুধু এই মাস্ক নয়। মাস্কের পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজারেরও সমান জনপ্রিয়তা। করোনা হানা থেকে নিজেকে প্রতিরোধ করতে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোয়া মাস্ট। প্রতিটি গৃহস্থালিরই নতুন সঙ্গী এই স্যানিটাইজার। বাইরের কথা তো ছেড়েই দিলাম, বরং ঘরেও ৩০ মিনিট অন্তর চাই এই স্যানিটাইজার। সম্প্রতি স্যানিটাইজার নিয়ে এমন এক  তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে যা শুনেই সকলেই হতবাক হয়েছে।

 

 

স্যানিটাইজারের এমন কিছু ক্ষতিকর উপাদান রয়েছে, যা শরীরে ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলতে পারে। এই স্যানিটাইজার থেকেই অন্ধত্ব চলে আসতে পারে। যা শোনা মাত্রই উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি এফডিএ-র পক্ষ থেকে জানা গেছে, বেশ কিছু স্যানিটাইজারে ক্ষতিকর অ্যালকোহল রয়েছে যা থেকে এই সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। অনেক স্যানিটাইজারেই ইথাইল ব্যবহার করা হচ্ছে , পরে যা মিথানল হিসেবে পজিটিভ হয়ে যাচ্ছে। আর এই মিথানল কাঠের অ্যালকোহল নামে পরিচিত। সম্প্রতি ৬৯ টি উপাদানের তালিকা প্রকাশ করেছে এফডিএ, সেখানেই গ্রাহকদের সাবধান করা হচ্ছে।

 

 

মিথানল দিয়ে তৈরি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে সকলকেই নিষেধ করা গচ্ছে। কারণ এর থেকে মাথা যন্ত্রণা, বমি, অন্ধত্ব, জ্ঞান হারানো থেকে কোমায় পর্যন্ত চলে যেতে পারেন  যে কোনও ব্যক্তি। তাই ইথানল বেসড অ্যালকোহল ব্যবহার করলেও মিথানল বেসড স্যানিটাইজার একদম ব্যবহার করতে বারণ করা হচ্ছে। ইথানলের থেকে মিথানলের দামও অনেকটা কম। সেই কারণেই মিথানল দিয়ে বেশি স্যানিটাইজার বানানো হচ্ছে।  এছাড়া এফডিআই লেখা স্যানিটাইজার যেগুলি বাজারে বিক্রি হচ্ছে তার সবটাই ভুঁয়ো। কারণ এখনও পর্যন্ত এফডিআই কোনও স্যানিটাইজারই অনুমোদন করেননি।