সংক্ষিপ্ত

  • লকডাউনে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবসায় লাভ নেই
  • ব্যবসার পরিমাণ অর্ধেকে পৌঁছে গেছে
  • বাজার খোলা রাখার সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন
  • রাজ্যের কাছে আবেদন মৎস্য ব্যবসায়ীদের

রাজ্য সরকারের কাছে বাজার খোলা রাখার সময়সীমা কিছুটা বাড়ানোর আবেদন মৎস্য ব্যবসায়ীদের। রাজ্য জুড়ে চলছে লকডাউন। নবান্ন থেকে ইতিমধ্যেই আগামী ১৫ই জুন পর্যন্ত লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। বাজারগুলির ক্ষেত্রে যে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে তা অপরিবর্তিত রেখেছে রাজ্য সরকার অর্থাৎ সকাল ৭ টা থেকে ১০ টা। নির্ধারিত এই সময় সীমা প্রভাব ফেলেছে মৎস্য ব্যবসায়ীদের রোজগারে। 

বারাসাত চাপাডালি মোড় সংলগ্ন মৎস আড়ৎ এ ব্যবসায়ীদের চোখে-মুখে তা স্পষ্টতই ফুটে উঠল। লকডাউনে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবসায় ব্যবসার পরিমাণ অর্ধেকে পৌঁছে গেছে। যে পরিমান মাছ সাধারণ দিনে বারাসাত মাছের আড়তে আসত, তার অর্ধেক পরিমান মাছ আনতে বাধ্য হচ্ছে ব্যবসায়ীরা, কারণ মাছের বিক্রিও অর্ধেকে গিয়ে ঠেকেছে। সাধারণত খুচরো মাছ বিক্রেতারা বারাসাতের বৃহৎ এই মাছের বাজার থেকে মাছ নিয়ে বারাসাত ও তার সংলগ্ন বাজারগুলিতে বিক্রি করে। 

সকাল ৭ টায় মাছের আড়ৎ খোলার পর মাছ কিনে নিয়ে বাজার গুলিতে পৌঁছে ব্যবসা করতে মাত্র কয়েকঘন্টা ব্যবসার জন্য পায় খুচরো মাছ ব্যবসায়ীরা। যার ফলে কম পরিমান মাছ বিক্রি হচ্ছে বারাসাত পাইকারি মাছের আড়তে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার যদি বাজার খোলা রাখার সময়সীমা কিছুটা বৃদ্ধি করে তাহলে পাইকারি ও খুচরো উভয় মাছ ব্যবসায়ীদের এধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না বলে অভিমত বারাসাত মৎস্য আড়ত সম্পাদকের।

সম্পাদক সুশান্ত চক্রবর্তী রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানালেন, যদি এই বিষয়টি নিয়ে সরকার পুনর্বিবেচনা করে সময়সীমা বৃদ্ধি করতে পারে তাহলে উভয় পাইকারি ও খুচরো মাছ বিক্রেতাদের কিছুটা হলেও লাভবান হবে।