সংক্ষিপ্ত
- নয়া মিশন কেন্দ্রের মোদী সরকারের
- এক কোটি মানুষ প্রতিদিন ভ্যাকসিন পাবেন
- বিশেষ আশ্বাস কেন্দ্রের
- ভ্যাকসিন সরবরাহের গতি বাড়ানোর নির্দেশের পর সিদ্ধান্ত
নয়া মিশন কেন্দ্রের মোদী সরকারের। জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় থেকেই এক কোটি মানুষ প্রতিদিন ভ্যাকসিন পাবেন। এমনই আশ্বাস কেন্দ্রের। ভ্যাকসিন উৎপাদন কোম্পানিগুলিকে সরবরাহের গতি বাড়ানোর নির্দেশের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোম্পানিগুলির পক্ষ থেকে উৎপাদন বাড়ানোর আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এরপরেই কেন্দ্রের ঘোষণা জুলাইয়ের মাঝামাঝি অথবা অগাষ্ট মাস থেকেই প্রতিদিন এক কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হবে।
শুধু সেরাম ইনস্টিটিউট বা ভারত বায়োটেকই ভ্যাকসিন উৎপাদন করছে না। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিকের সপবরাহও। সেই সরবরাহও গতি পেয়েছে। ইতিমধ্যেই তিন দফায় কয়েক লক্ষ স্পুটনিক ভ্যাকসিনের ডোজ এসে পৌঁছেছে দেশে। পরিস্থিতির কথা বিচার করে ভ্যাকসিনেশনের ওপর জোর দিতে চলেছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রের এক স্বাস্থ্য আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে সোমবার জানান, আগামী দু মাসের মধ্যে দেশের ভ্যাকসিন মানচিত্রের বদল ঘটতে চলেছে।সরবরাহ উন্নত হলে, নিজে থেকেই ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া দ্রুত হবে। তখন দিনে এক কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া সহজসাধ্য হবে। ফলে দেশ করোনার তৃতীয় তরঙ্গের সঙ্গে মোকাবিলা করতে প্রস্তুত থাকবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর জুলাই মাসে কেন্দ্রের হাতে থাকবে প্রায় ১০ কোটি কোভিশিল্ড, ৭.৫ কোটি কোভ্যাক্সিন ও ২.৫ কোটি স্পুটনিক ভ্যাকসিন। টিকাকরণ প্রক্রিয়া আরও গতি পাবে, যদি দেশের বাজারে চলে আসে পিফাইজার ও মডার্ণার ভ্যাকসিন। এদিকে, করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় বড় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে পুনের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। কেন্দ্রীয় সরকারকে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জুন মাসের মধ্যে সংস্থাটি ১০ কোটি করোনা ভাইরাসের টিকা তৈরি ও সরবরাহ করতে পারবে। করোনা ভাইরাসের টিকার ঘাটতির মধ্যে সেরামের এই ঘোষণা রীতিমত স্বস্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে।
জুন মাসের মধ্যে সংস্থাটি কোভিশিল্ডের নয় থেকে দশ কোটি ডোজ উৎপাদন আর সরবরাহ করতে পারবে। মে মাসে সংস্থাটি সাড়ে ৬ কোটি কোভিশিল্ডের ডোজ উৎপাদন করেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে এই চিঠি লিখেছেন প্রকাশ কুমার সিং। সংস্থার পক্ষ থেকে কোভিড ১৯ এর ভ্যাকসিনের সহজলভ্যতা বাড়ানো হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কোভিড ভ্যাকসিন ইস্যুতে দেশকে আত্মনির্ভর করার যে চেষ্টা কেন্দ্রীয় সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তাকেও স্বাগত জানান হয়েছে।
মে মাসের শুরুতেই এই সংস্থা জানিয়েছে জুনে সাড়ে ৬ কোটি আর জুলাইয়ে ৭ কোটি আর অগাস্ট থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় কোটি কোভিশিল্ড উৎপাদন করতে পারবে সংস্থাটি। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারকে লেখা নতুন চিঠিতে সংস্থার পক্ষ থেকে কোভিড টিকা উৎপাদন বাড়ান হবে বলেও জানান হয়েছে।