সংক্ষিপ্ত
বিশ্বা স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন জানিয়েছেন, ওমিক্রনকে অনেকেই সাধারণ সর্দি কাশি হিসেবে বিবেচনা করছেন। কিন্তু এটি আদতে না নয়। তিনি বলেছেন করোনার এই রূপটি খুবই হালকা লক্ষণযুক্ত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি উপসর্গবিধিন। তেমন কোনও লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায় না।
ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমণ ভারতে বাড়ছে। ইতিমধ্যেই সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এবার ভারতকে সতর্ক করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী ২ সপ্তাহ ভারতের যথেষ্টই গুরুত্বপূর্ণ। গোটা দেশেরেই এই অবস্থায় সতর্ক থাকা জরুরি। ওমিক্রন মোটেও সাধারণ সর্দিকাশি (Common Cold) নয়। ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাছে তা যে কোনও মুহূর্তে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে করোনাভাইারস (Coronavirus) সংক্রান্ত নিয়োমবিধি মেনে তলার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। সৌম্যা স্বামীনাথন (Soumya Swaminathan) বলেছেব ওমিক্রন সাধারণ সর্দি কাশি নয়। তাই এটি নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি।
ওমিক্রন সাধারণ সর্দিকাশি নয়ঃ
বিশ্বা স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন জানিয়েছেন, ওমিক্রনকে অনেকেই সাধারণ সর্দি কাশি হিসেবে বিবেচনা করছেন। কিন্তু এটি আদতে না নয়। তিনি বলেছেন করোনার এই রূপটি খুবই হালকা লক্ষণযুক্ত। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি উপসর্গবিধিন। তেমন কোনও লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায় না। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে তিনি বলেছেন, এটি সাধারণ সর্দি নয়। স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সমস্যায় ফেলতে পারে। বিপুল সংখ্যক রোগীর পরীক্ষা ও পরামর্শ ও নিরীক্ষণ করা খুবই জরুরি। এটি হঠাৎ বেড়ে গিয়ে ভয়ঙ্কর আকার নিতেই পারে। আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহামারি বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরখোভও করোনার নতুন এই রূপটির বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ডেল্টার মত ওমিক্রনের সংক্রমণ এখনও পর্যন্ত তত গুরুত্ব লক্ষ্য করা যায়নি। কিন্তু ওমিক্রনেত আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি সংখ্যাও খুব কম। কিন্তু তারপরেও ওমিক্রনকে হালকাভাবে নেওয়া ঠিক নয় বলেও সতর্ক করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জন ওমিক্রন আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ওমিক্রনের লক্ষণঃ
ওমিক্রন বৈকল্পক যা প্রথম দক্ষিণ আফ্রিয়ায় শনাক্ত করা হয়েছিল তা ছিল হালকা সংক্রমণ যুক্ত। যারফলে সর্দি-কাশির মত লক্ষণগুলি দেখা যায়। চিকিৎসকদের মতে ওমিক্রন আক্রান্তদের প্রধান লক্ষণ হল, মাথাব্যাথা, গলা ব্যাথা, নাক দিয়ে জল পড়া, ক্লান্তিবোধ ও ঘন ঘন হাঁচি হবে। সর্দি বা ফ্লর মত উপসর্গ দেখা দেবে।
বিরুদ্ধ মতঃ
তবে সম্প্রতি বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ ওমিক্রনকে সাধারণ সর্দির সঙ্গেই তুলনা করছিলেন। ব্রিটেনের বিশেষজ্ঞ চার্লস চিউ ওমিক্রনকে করোনাভাইরাসের নতুন রূপ হিসেবে মেনে নিতে নারাজ। তাঁর কথায় এটি সাধাকণ সর্দি। দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে যায়। খুব বেশি হলে ১০ দিন সময় লাগে। তবে মার্কিন বিশেষজ্ঞদের কথায় ওমিক্রন যে কোনও সময়ই গুরুতর আকার নিতে পারে।
বর্তমানে ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও সতর্ক করেছে। বলেছে মাস্ক পরা, নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধি নিষেধগুলি মেনে চলা জরুরি। দেশে গত এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। মহারাষ্ট্রে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি।
COVID-19: পঞ্জাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়ল, ইতালি আসা ১২৫ জন যাত্রী কোভিড আক্রান্ত
Covid Will End: ২০২২ সালেই শেষ হবে কোভিড-মহামারি, সঙ্গে 'যদি' জুড়ে দিলেন WHO প্রধান