সংক্ষিপ্ত

  • রাশিয়ার করোনা টিকা স্পুটনিক ভি
  • ভারতের করোনা যুদ্ধের অন্যতম হাতিয়ার 
  • এক বছরে ভারত হাতে পারে ৩৬১ মিলিয়ন ডোজ 
  • টিকা পাবেন ৩৬ কোটি ভারতীয় 

ভারতের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুদ্ধ জয়ে রাশিয়ার স্পুটনিক ভি  (sputkin V) কী আগামী দিনে হয়ে উঠতে চলেছে অন্যতম হাতিয়ার? অনেকটা তেমনই ইঙ্গিত দিলেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ২০২২ সালের মার্চ মাসের মধ্যে রাশিয়া ছেকে ৩৬১ মিলিয়ন স্পুটনিক ভি হাতে পেতে চলেছে ভারত। সেই প্রাপ্ত টিকার ডোজে প্রায় ৩৬কোটি ভারতীয়কে টিকা প্রদান করা যাবে বলেও আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী মে মাসে প্রথম এই ভ্যাকসিন হাতে পেয়েছে ভারতয পয়লা মে রাশিয়া ভারতকে ১.৫ মিলিয়ন স্পুটনিক ভি-র ডোজ দিয়েছিল ভারতকে। ভারত ১৮ মিলিয়ন তৈরি স্পুটনিভ ভির ডোজ পাবে। যার মধ্যে তেশরা তিন মিলিয়ন ডোজ গত তেশরা মে হাতে পেয়েছে। আগামী জুলাইয়ের মধ্যে আরও ১০ মিলিয়ন স্পুটনিক ভির ডোজ হাতে পাবে বলেও সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই পাঁচটি ভারতীয় সংস্থা ৮৫০ মিলিয়ন স্পুটনিক ভি ডোজ তৈরি করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ভারত স্পুটনিক ভি অন্যান্য দেশে রফতানিও করতে পারবে। তেমনই ছাড়পত্র দিয়েছেন পুতিন।

ইতিমধ্যেই স্পুটনিক ভি-কে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে ভারতের ড্রাগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। কোভিশিল্ড ও কোভ্যারসিনের পর স্পুটনিক ভি হল তৃতীয় ভ্যাকসিন যা করোনা মহামারির বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভারতকে সাহায্য করবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয়েছে। 
বিশ্বের প্রায় ৬০টি দেশ স্পুটনিকভিকে জরুরি ব্যবহারর জন্য অনুমোদন দিয়েছে। গত ৫ মে বিশ্বের ২ কোটিরও বেশি মানুষকে স্পুটনিক ভি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। রাশিয়ার একক ডোজের কোভিড ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভিও আগামী দিনে ভারত ব্যবহার করবে। আর এই ভ্যাকসিন করোনা যুদ্ধে ভারতের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আগামী দিনে স্পুটনিক লাইটও ভারতে উৎপাদন হবে। তেমনই কথাবার্তা শুরু হয়েছে। 

শুধু স্পুটনিক ভি নয় বর্তমানে ভারত নজর দিচ্ছে মোডার্না, কোয়াড-এর তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের দিকেও। বর্তমানে ভারতে চলছে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ। আর সেই কারণে দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বড়ছে। সংক্রমণ রুখতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভ্যাকসিনের চাহিদা। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দিন কয়ের আগে ভ্যাকসিন তৈরির কাঁচা মালের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় ভ্যাকসিন প্রস্তুতে বাধা পড়ে। তবে বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপে সেই বাধা কিছুটা হলেও কাটিয়ে ওঠা গেছে। কিন্তু দেশের মানুষকে প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিন যোগান দিতে বর্তমানে বিদেশে তৈরি ভ্যাকসিনগুলির দিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে।