সংক্ষিপ্ত
- দিল্লিতে ৩১শে মের পর তুলে নেওয়া হতে পারে লকডাউন
- পুরোটাই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর
- রবিবার আরও এক সপ্তাহ লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে
- বিশেষ বৈঠকের পরে ঘোষণা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের
দিল্লিতে ৩১শে মের পর তুলে নেওয়া হতে পারে লকডাউন। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে করোনা পরিস্থিতির ওপর। রবিবার আরও এক সপ্তাহ লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে ঘোষণা করলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিন তিনি বলেন যদি করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়, তবেই লকডাউন তুলে নেওয়া হবে।
গত ২৪ ঘন্টায় দিল্লিতে নতুন করে ১৬০০ করোনা রোগীকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তবে করোনা সংক্রমণের হার কমে দাঁড়িয়েছে ২.৫ শতাংশে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব করোনা টিকা দিল্লিবাসীর প্রত্যেককে দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। তবে খুব তাড়াতাড়ি ভারতে হানা দিতে চলেছে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ। সেজন্য প্রত্যেককে প্রস্তুত থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন কেজরিওয়াল। তবে ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে চিন্তার কিছু নেই বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
দিল্লির স্বাস্থ্য দফতর জানাচ্ছে গত পাঁচ সপ্তাহের লকডাউনে করোনা সংক্রমণের হার কমে এসেছে। ২৮ হাজার দৈনিক সংক্রমণ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১৬০০। ফলে বেশ আশাবাদী রাজ্য সরকার। দিল্লিতে বর্তমানে ৩১,৩০৮টি করোনা অ্যাকটিভ কেস রয়েছে।
এদিকে, স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে আগামী তিন দিনের মধ্যে রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে আরও টিকা পাঠান হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে জানান হয়েছে প্রায় ৪০ লক্ষ ৬৫০ হাজার কোভিড টিকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মন্ত্রকের দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী সরকার এখনও পর্যন্ত বিনা মূল্যে ২১ কোটি ৮০ লক্ষেও বেশি টিকা রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে সরবরাহ করেছে। যার মধ্যে শনিবার বিকেল পর্যন্ত ১৯ কোটি ৫০ হাজার মানুষকে টিকা প্রদান করা হয়েছে। তাই রাজ্যগুলি এখন নিশ্চিত হয়ে টিকা কর্মসূচি চালিয়ে যেতে পারে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিবৃতিতে অনুযায়ী রবিবার সকাল পর্যন্ত দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৬৫ লক্ষেরও বেশি। দৈনিক সংক্রমণের পরিসংখ্যান ২ লক্ষ ৪০ হাজারের বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৭৪১জনের। তবে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৫৫ হাজারের বেশি। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ৯৯ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। দেশে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২৮ লক্ষেরও বেশি।