সংক্ষিপ্ত

  • এজবাস্টনের পিচ ছিল টেস্টের পঞ্চম দিনের মতো
  • দক্ষিণ আফ্রিকা করতে পেরেছিল ২৪১/৬
  • জবাবে নিউজিল্যান্ড করল ২৪৫/৬
  • জয় এল তিন বল বাকি থাকতে

 

বিশ্বকাপের খেলা দেখতে বসে মনে হল টেস্ট ম্যাচের পঞ্চম দিনের খেলা চলছে। বল উল্টো পাল্টা লাফাচ্ছে। যত খেলা গড়িয়েছে তত মন্থর হয়েছে পিচ। কেইন উইলিয়ামসনের মতো ব্য়াটসম্যান যাঁকে আধুনিক যুগের ফ্যাব ফোরের একজন বলে ধরা হয়, তিনিও বল টাইম করতে মাথা কুটে মরলেন। তারমধ্যেও শতরান (১০৬*) করে গেলেন। দুর্ধর্ষ ব্য়াটিং করে গেলেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। মাত্র ৪৭ বলে ৬০ রান করে তিনিই খেলা ঘুরিয়ে দিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ২৪ রান তাড়া করে ৩ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ২৪৫ তুলে দিল নিউজিল্যান্ড।

এদিনই এজবাস্টনে বিশ্বকাপের প্রথম ম্য়াচ হল। সকাল থেকে বৃষ্টি না হলেও গত একসপ্তাহ নাগারে বৃষ্টি হয়েছে বার্মিংহামে। যে কারণে মাঠ ইতস্তত ভেজা থাকায় খেলা শুরু হতে দেরী হয়। ফলে খেলা থেকে কাটা যায় ১টি করে ওভার। খেলা হ ৪৯ ওভারের। টসে জিতে আগে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাট করতে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। প্রথম থেকেই বল ব্য়াটে আসতে সমস্যা করেছে।

তারপরেও দক্ষিণ আফ্রিকা ২৫০ রানের কাছাকাছি পৌঁছতে পেরেছিবল মূলত শুরুতে হাশিম আমলা (৮৩ বল খেলে ৫৫ রান) একটা দিক ধরে রাখায় এবং ডেথ ওভারে ভ্যান ডার ডুসেঁ (৬৭) ও  ডেভিড মিলার (৩৬)-র ৬৪ রানের জুটির কারণে। বিশেষ করে এই জঘন্য পিচেও  ভ্যান ডার ডুসেঁ ১০০ উপর স্ট্রাইক রেট রেখে ব্যাট করলেন। মারলেন ৩টি ছয় ও ২টি চার।

ব্ল্যাক ক্যাপস বোলারদের মধ্য়ে এদিনও সবচেয়ে সফল লকি ফার্গুসন। ৫৯ রান দিয়ে নিলেন ৩টি উইকেট। বোল্ট পেয়েছেন ১টি উইকেট। ম্য়াচ হেনরি উইকেট না পেলেও ১০ ওভারে রান দিলেন মাত্র ৩৪।

রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই রাবাডার বলে বোল্ড হন মুনরো (৯)। এরপর কেইন উইলিয়ামসন ও মার্টিন গাপ্টিল একটি ৬০ রানের জুটি গড়লেও ১৫ থেকে ১৮ ওভারের মধ্যে গাপ্টিল (৩৫), রস টেলর (১) ও টম ল্যাথাম (১)-এর উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল কিউইরা। দরকার ছিল একটি ঠান্ডা মাথার, ছিলেন উইলিয়ামসন।

এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার ফিল্ডিং অত্যন্ত খারাপ হয়েছে। সঙ্গে ভাগ্যও ছিল কেইন উইলিয়ামসনের সঙ্গে। ৩ থেকে ৪ বার নতুন জীবন পেয়েছেন। বেশ কয়েকবার তাঁর ক্যাচ পড়েছে। রান আউটের হাত থেকে বেঁচে গিয়েছেন। এমনকী ফেহলুকাওইও-এর একটি বলে তিনতাঁর ক্য়াচও পড়েছে, আবার বলটি নোবলও হয়েছে। তবে সংগ্রাম করেই কিন্তু একেবারে শেষ অবধি থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন তিনি।

খেলাটা অবশ্য ঘুরিয়ে দিয়েছেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। ব্যাটসম্যানদের বদ্ধভূমিতে দাঁড়িয়ে তিনি দারুণ ব্য়াটিং করলেন। মাত্র ৩৯ বলে করলেন অর্ধশতরান। মূলত তাঁর ধুন্ধমার ব্য়াটিং-ই ম্যাচটা টেনে আনল ব্ল্যাক ক্যাপসদের দিকে।

এদিনও দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে বেশ ভাল বল করলেন ক্রিস মরিস। ১০ ওবারে ৪৯ রন দিয়ে টেলর, ল্যাথাম ও জিমি নিশামের উইকেট নেন তিনি। রাবাডা, এনগিদিও ১টি করে উইকেট নেন। ফেহলুকাওইও ১টি উইকেট নিলেও ওভার প্রতি প্রায় ৯ করে রান দিলেন।