আর ৬ দিন, তারপরেই শুরু বিশ্বকাপ। তার আগে বিশ্বকাপের ১০ অধিনায়ককে নিয়ে হল ফটোসেশন। সেখানে প্রত্যেকেই একমত হলেন, শুধু ট্রফি জেতা নয়, তাদের লক্ষ্য আরও অনেক বড়। 

একটা করে দিন যাচ্ছে আর একটু একটু করে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। আর ৬ দিন পরেই শুরু হচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। একটি ট্রফির জন্য ৪৬ দিন ধরে লড়বে ১০টি দল। তবে ট্রফিটা নিজের দেশে নিয়ে আসাই কী একমাত্র লক্ষ্য? ১০ দলের সেনাপতিরা কিন্তু তা মনে করেন না। বৃহস্পতিবার ১০ অধিনায়ককে নিয়ে আয়োজিত হল আইসিসির 'ক্যাপ্টেনস মিডিয়া ডে'। সেখানে বিরাট কোহলি থেকে ইয়ন মর্গান, প্রত্যেকেই জানালেন বিশ্বকাপ মানে শুধু একটা ট্রফি জয় নয়, এই টুর্নামেন্টের অর্থ আরও অনেক বড়। তাঁদের লক্ষ্যটাও বৃহত্তর।

ভারত অধিনায়কের প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপের স্মৃতি বলতে ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপ। সেইবার এই টুর্নামেন্টের আয়োজক ছিল ভারত-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা। বৃহস্পতিবার বিরাট জানিয়েছেন, তিনি স্কুল বাদ দিয়ে ম্য়াচ দেখতে বসতেন টিভিতে। প্রায় প্রত্যেকটি ম্যাচই তিনি দেখেছিলেন। সেটা ছিল তাঁর নায়কদের চোখের সামনে থেকে দেখার সুযোগ। সেই সময়কে তিনি তাঁর জীবনের সেরা সময় বলে বর্ণনা করেছেন।

আবার ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক জেসন হোল্ডারের মনে গেঁথে আছে ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে। সেইবার বিশ্বকাপ আয়োজিত হয়েছিল আফ্রিকা মহাদেশে। সেই সময় ১১ বছরের হোল্ডারকে ক্রিকেটার হতে উদ্বুদ্ধ করেছিল বিশ্বকাপের বিশেষ একটি ম্যাচ। প্রথম ম্যাচেই আয়োজক শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে মাত্র ৩ রানে পরাজিত করেছিল ওয়েস্টইন্ডিজ। কীভাবে প্রতি মুহূর্তে রঙ পাল্টেছিল সেই ম্যাচের তা মনে করে এখনও রোমাঞ্চিত হন তিনি।

আবার এইবারের বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ তথা কাপ জেতার অন্যতম দাবিদার ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ইয়ন মর্গান জানিয়েছেন, ক্রিকেট খেলা শুরু করার পর থেকে বরাবর স্বপ্ন দেখতেন দেশের জার্সিতে বিশ্বকাপ খেলবেন। কিন্তু, বিশ্বকাপে দেশকে নেতৃত্ব দেবেন - এমনটা কখনও ভাবতেও পারেননি।

শুধু এই তিন অধিনায়কই নন, একই সুরে গলা মিলিয়েছেন দশ অধিনায়কই। তাঁরা প্রত্যেকেই বিশ্বকাপের কোনও না কোনও নায়কোচিত মুহূর্তে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন একসময়। আর সেই আগুনই আজ তাদের এই মঞ্চে এনে হাজির করেছে। এই কারণেই তারা প্রত্যেকেই ট্রফি সঙ্গে ছবি তুলতে এসে বলে গেলেন, বিশ্বকাপ মানে শুধু ট্রফি জেতাই নয়, পরের প্রজন্মের অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠাও বটে।

📽️ Watch the #CWC19 Captain's Media Day live NOW!

➡️ https://t.co/xUjmwP0jV1pic.twitter.com/fdeggoeq79

— Cricket World Cup (@cricketworldcup) May 23, 2019

এটা কী বিশ্বকাপের টুর্নামেন্টে বাড়তি চাপ হয়ে উঠবে? বিশ্বকাপের অধিনায়কেরা তা করেন না। বরং সেটাই তাদের ভালো খেলতে উদ্বুব্ধ করে, এমনটাই জানিয়েছেন তাঁরা। বিরাট কোহলি যেমন বলেছেন, 'আমরা অনেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে থাকি, ফলে চাপ, প্রত্যাশা এসব আমাদের সামলাতেই হয়। কিন্তু বিশ্বকাপের ব্যাপারই আলাদা। যখন আপনার সঙ্গে ১৩০ কোটি মানুষের সমর্থন থাকে তার আবেগটাই আলাদা। সেই যে গর্বের অনুভূতি তার সঙ্গে আর কোনও কিছুর তুলনা হয় না'।