ফের টুইটারে ট্রোলিং-এর শিকার সরফরাজ আহমেদ এবার রাণীর সঙ্গে দেখা করার সময়ে পাক অধিনায়কের পোশাককে নিশানা করা হল তাঁকে অবশ্য সমর্থন করলেন বেশ কিছু ভারতীয় ভক্ত এদিনই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে নামছে পাকিস্তান 

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯-এর খেলা। তার আগের দিন বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ১০ দলের অধিনায়ক বাকিংহাম প্যালেসে গিয়ে ইংল্য়ান্ডের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। একসঙ্গে ছবিও তোলা হয়। ওই রাজকীয় সাক্ষাতে পাকিস্তানি অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের পোশাক নিয়ে টুইটারে হাসি-ঠাট্টা করলেন সেই দেশেরই কিছু নাগরিক।

বিশ্বকাপের মতো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে কোনও দেশের অধিনায়ক শুধু খেলোয়াড় নন, রাষ্ট্রদূতের ভূমিকাতেও থাকেন। রানীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে বিরাট কোহলি থেকে শুরু করে সব অধিনায়কই একেবারে ফর্মাল পোশাকে এসেছিলেন। প্রত্যেকেরই পরনে ছিল দেশের ক্রিকেট বোর্ডের দেওয়া সরকারি স্যুট। ব্যতিক্রম ছিলেন শুধু সরফরাজ। পাক অধিনায়ক রানীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন কুর্তা-পাজামা পরে। তার উপরেই পাকিস্তান বোর্ডের দেওয়া ব্লেজারটা চাপিয়ে নিয়েছিলেন।

বাকি সবাই যেখানে স্যুট পরে গিয়েছিলেন সেখানে কুর্তা-পাজামা পরে আসার জন্য সরফরাজকে তুলোধোনা করেছেন পাক জনতার একাংশ। পাকিস্তানি লেখক, বর্তমানে কানাডার অধিবাসী তারেক ফাতাহ তো তীব্র বিদ্রুপ করে বলেছেন, 'তাও ভালো লুঙ্গি-গেঞ্জি-টুপি পরে চলে যায়নি'।

Scroll to load tweet…

তবে অনেকেই তাঁকে সমর্থন করেছেন। মজার বিষয় হল সরফরাজের ক্রিকেটিয় দক্ষতা, ক্রিকেট বোধ, তাঁর ইংরেজডি বলা - সব নিয়ে হাসি ঠাট্টা করেন যে ভারতীয় ক্রিকেট ভক্তরা, তাঁরা কিন্তু এই বিষয়ে পাক অধিনায়কের পাশেই দাঁড়িয়েছেন।

Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…

তিনি দেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে গিয়েছিলেন। এতে দোষের তো কিছু নেইই, বরং এর জন্য সরফরাজকে বাহবাই দিয়েছেন ভারতীয় সমর্থকরা। ইংল্য়ান্ড বলেই সেখআনে স্য়ুট পরতে হবে তারর কোনও মানে নেই। এটা একপ্রকার ঔপনিবশিক মানসিকতা বলেও মত দিয়েছেন কেউ কেউ। এমনকী বিরাট কোহলিও যদি ভারতীয় পোশাকে যেতেন তাহলে ভালো হত বলেও মত এসেছে।

Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…
Scroll to load tweet…

বিশ্বকাপে শুক্রবারই ওয়েস্টইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্য়াচ দিয়ে অভিয়ান শুরু করছেন সরফরাজরা। তার আগে দলের প্রফরম্যান্স গ্রাফ একেবারেই নিম্নমুখি। এই ব্যতিক্রমী ভারতীয় সমর্থন পেয়ে সরফরাজ হয়ত ম্যাচের আগে কিছুটা বাড়তি চাঙ্গা হবেন। নিজে ব্য়াট হাতে অবশ্য ফর্মেই আছেন পাক অধিনায়ক। দলকে কতটা উদ্বুদ্ধ করতে পারেন, সেটাই এখন দেখার।