সংক্ষিপ্ত
- রবিবারই বিশ্বকাপ ২০১৯-এর ভারত পাক ম্যাচ
- এর আগে প্রত্যেকবারই বিশ্বকাপ মোকাবিলায় জয়ী হয়েছে ভারত
- তবে অতীতে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে এই ম্যাচে তৈরি হয়েছে বেশ কয়েকটি স্মরণীয় মুহূর্ত
- আর এই মুহূর্তগুলিই এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার আঁচ বাড়িয়ে দিয়েছে
আবার আসছে ম্যাচ - ভারত বনাম পাকিস্তান। রবিবার ইংল্যান্ডের ম্যাঞ্চেস্টারে মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল। বর্তমানে শুধুমাত্র আইসিসি টুর্নামেন্টেই দেখা হয় দুই দলের তাই দুই দেশের ক্রিকেট ভক্তরাই চাতকের মতো তাকিয়ে থাকেন এই ম্যাচের দিকে। বিশ্বকাপের বড় মঞ্চে জয়-পরাজয়ের রেকর্ডে ভারত যে পাকিস্তানের থেকে অনেক যোজন এগিয়ে আছে - তা আর নতুন করে বলার কিছু নেই।
তবে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ মানে তো শুধু শুষ্ক জেতা-হারার বিষয় নয়। এই ম্যাচ কে ঘিরে থাকে অসংখ্য মানুষের আবেগ, উত্তেজনা। তৈরি হয় একের পর এক আইকনিক মুহূর্ত। বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত মোট ৬ ম্যাচে দুই দল মুখোমুখি হয়েছে। সেইসব ম্যাচ থেকে এশিয়ানেট নিউজ বাংলা বেছে নিল ৩টি স্মরণীয় মুহূর্ত। যতদিন ক্রিকেট বিশ্বকাপ থাকবে, যতদিন ভারত-পাক ক্রিকেট থাকবে, ততদিন এই মুহূর্তগুলিও বেঁচে থাকবে।
২০০৩ - সচিনের আপার কাট
২০০৩ সালের বিশ্বকাপের অন্যতম আকর্ষণ ছিল সচিন বনাম শোয়েব আখতারের ব্যক্তিগত লড়াই। সচিন ততদিনে বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। আর শোয়েব উঠে এসেছেন আক্রম-ওয়াকারদের যোগ্য উত্তরসুরি হিসেবে। এই ম্য়াচের আগে একাধিকবার শোয়েবের গতিতে পরাস্ত হয়েছিলেন সচিন। কিন্তু এই ম্যাচে ডুয়েলটা জিতে নেন সচিন। ৭৫ বলে ৯৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার। আর তারমধ্যে সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তটি এসেছিল ভারতীয় ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে। অফ স্টাম্পের বাইরে শোয়েবের প্রচন্ড গতির বল আপার কাট মেরে পয়েন্ট অঞ্চল দিয়ে ছয় মেরেছিলেন সচিন। ওই একটি শটই ম্য়াচের সুরটা বেঁধে দিয়েছিল।
১৯৯২ - মিয়াঁদাদের লাফ
এই ম্যাচেই বিশ্বকাপে প্রথমবার মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। সচিনের ৫২ রান ও কপিলের ২৫ রানের দৌলতে ভারত ২১৬ রান তুলেছিল। পাকিস্তানের শুরুতেই ২ উইকেট পড়ে গেলেও তারপর পাকিস্তান ইনিংস এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন অভিজ্ঞ আমির সোহেল ও জাভেদ মিয়াঁদাদ। মিয়াঁদাদকে উইকেটের পিছন থেকে ক্রমাগত কথায় কথায় বিরক্ত করে তুলছিলেন কিরণ মোরে। আম্পায়ারকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। মিয়াঁদাদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে। তিনি একটি রান নেওয়া সম্পূর্ণ করেই মোরেকে ভেঙিয়ে হাতে ব্যাট নিয়েই তাঁর মতো করে লাফাতে থাকেন। ম্য়াচের ফলাফলের থেকেও মিয়াদাঁদের ওই মজাদার অঙ্গভঙ্গীই ক্রিকেট সমর্থরকদের মনে রয়ে গিয়েছে।
সোহেলকে প্রসাদের জবাব
চার বছর পরের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। ভারত প্রথমে ব্যাচট করে ৫০ ওভারে ২৮৭ রান তোলে। জবাবে পাকিস্তানের দুই গোড়াপত্তনকারী ব্য়াটসম্যান আমির সোহেল ও সইদ আনোয়ার ৮৪ রানের জুটি গড়েছিলেন। এরপর আনোয়ার ফিরলেও সোহেল নিজের কাজটা ভালভাবেই করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ১৫তম ওভারে ভেঙ্কটেশ প্রসাদের বলে ম্য়াচ ঘুরে যায়। এই ওভারের দ্বিতীয় বলে চটার মেরে প্রসাদের দিকে এগিয়ে গিয়ে সোহেল ব্য়াট দিয়ে প্রসাদকে বাউন্ডারি থেকে বল কুড়িয়ে আনার ইঙ্গিত করেন। পরের বলেই মোক্ষম জবাবে সোহেলের স্টাম্প ছিটকে দিয়েছিলেন প্রসাদ। আর তারপর সোহেকে প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার ইঙ্গিত করেন।
এইসব মুহূর্তগুলিই ভারত-পাক বিশ্বকাপ মোকাবিলাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।