সংক্ষিপ্ত
মেলবোর্নে (Melbourne) বক্সিং ডে টেস্টে (Boxing Day Test) জয় পেল অস্ট্রেলিয়া (Australia)। প্রথম ইনিংসে প্যাট কামিন্সের (Pat Cummins)দলের নেওয়া ৮২ রানে লিড পেরোতে পারল না জো রুটের (Joe Root)দল। ৬৮ রানে অলআউট ইংল্যান্ড (England)। পরপর ৩ ম্যাচ জিতে অ্যাসেজ সিরিজ (Ashes Series) জিতল অস্ট্রেলিয়া।
দ্বিতীয় দিনের শেষেই ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল মেলবোর্নে (Melbourne) অস্ট্রেলিয়া বনাম ইংল্যান্ডের ( Australia vs England) অ্যাসেজ সিরিজের (Ashes Series)তৃতীয় টেস্টের। ৩ দিন পুরো খেলা হল না বক্সিং ডে টেস্ট (Boxing Day Test)। তৃতীয় দিনের শুরুতেই অসি পেস অ্যাটাকের সামনে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার মাত্র ৮৫ রানের লিডও পেরোতে পারল না জো রুটের (Joe Root) দল। ৬৮ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড। জো রুটের ২৮ ও বেন স্টোকসের ১১ রানের ইনিংস ছাড়া কোনও ব্রিটিশ ব্যাটসম্যান দুই সংখ্যায় পৌছতে পারেনি। ইনিংস ও ১৪ রানে ম্য়াচ জিতল প্যাট কামিন্সের (Pat Cummins) দল। একাই ৬ উইকেট নিয়ে ব্রিটিশদের ব্য়াটিং লাইন ধ্বংস করে দেন চলতি টেস্টে অভিষেক হওয়া স্কট বোল্যান্ড। ৩টি উইকেট নেন মিচেল স্টার্ক ও একটি উইকেট নেন ক্যামেরন গ্রিন। একইসঙ্গে ৫ ম্যাচের সিরিজ ২ ম্যাচ বাকি থাকতেই ৩-০ ব্যবধানে জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া। অ্যাসেজ ফের নিজেদের দখলে রাখল ব্যাগি গ্রিনরা।
মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক প্য়াট কামিন্স। মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্সদের আগুনে বোলিংয় ও ন্য়াথান লিয়ঁ স্পিনের ভেলকির সামনে মাত্র ১৮৫ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। সর্বোচ্চ ৫০ রান করেছিলেন জো রুট। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ও ন্যাথান লিয়ঁ। এছাড়া মিচেল স্টার্ক নেন ২টি উইকেট ও একটি করে উইকেট নেন স্কট বোল্যান্ড, ক্যামেরন গ্রিন। প্রথম দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়াক স্কোর ছিল ৬১ রানে এক উইকেট। ইংল্যান্ডের ব্য়াটিং লাইন ব্যর্থ হলেও দ্বিতীয় দিনে ভালো বোলিং করলেন ব্রিটিশ বোলাররা। মার্কাস হ্য়ারিসের ৭৬ রানের ইনিংস ছাড়া কেউ বড়রান করতে পারেননি। তবে ডেভিড ওয়ার্নারের ৩৮, ট্রেভিস হেডের ২৭, ক্যানেরন গ্রিনের ১৭, অ্যালেক্স ক্যারের ১৯, প্য়াট কামিন্সের ২১ ও মিচেল স্টার্কের ২৪ রানের ইনিংসের সৌজন্যে প্রথম ইনিংসে ২৬৭-তে পৌছে যায় অস্ট্রেলিয়া। ৮২ রানেক অতি গুরুত্বপূর্ণ লিডও নেয় ক্যাঙারু ব্রিগেড। জেমস অ্য়ান্ডারসনের ৪টি উইকেট ছাড়াও ইংল্যান্ডের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন অলি রবিনসন, মার্ক উড, একটি করে উইকেট নেন বেন স্টোকস, জ্য়াক লিচ।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৮২ রানের লিডের বোঝা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ছিল ৩১ রানে ৪ উইকেট। তৃতীয় দিনের সকালে মাত্র ৩৭ রান যোগ করেই অল আউট হয়ে য়ায় ব্রিটিশ লায়ন্সরা। তৃতীয় দিন মধ্যাহ্ন ভোজের আগেই ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয়ে যায়। মাত্র ৫০ নমিনিট খেলা হয় তৃতীয় দিনে। স্কট বোল্যান্ড চার ওভারে সাত রান দিয়ে ছয় উইকেট তুলে নেন। এর আগে ব্রিসবেনে প্রথম টেস্টে ৯ উইকেটে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় টেস্টে অ্যাডিলেডে অজিরা জেতে ২৭৫ রানে। এবার তৃতীয় টেস্ট ইনিংস ও ১৪ রানে জিতে সিরিজ জিতল অজিরা। চতুর্থ টেস্ট সিডনিতে ৫ জানুয়ারি থেকে। ১৪ জানুয়ারি থেকে হোবার্টে দিন রাতের টেস্ট দিয়ে শেষ হবে এবারের অ্যাসেজ।