সংক্ষিপ্ত
ভারতীয় টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা (Wriddhiman Saha)। ভারতীয় উইকেট রক্ষক ব্য়াটসম্য়ানকে দলে ফেরানোর দাবিতে চলছে বিক্ষোভ। এবার বিসিসিআই (BCCI) প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে (Sourav Ganguly) চিঠি লিখলেন সিপিএম নেতা (CPM Leader) অশোক ভট্টাচার্য (Asok Bhattacharya)।
যেই আভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল, তা গত শনিবার সত্য়ি হয়েছে ভারতীয় দল (Indian Cricket Team) ঘোষণার পর। শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka)বিরুদ্ধে আসন্ন টেস্ট সিরিজের দল থেকে বাদ দেওয়া হয় বাংলার উইকেট রক্ষক ব্য়াটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহাকে (Wriddhiman Saha)। বয়স না পারফরম্য়ান্স সঠিক কোন কারণে ঋদ্ধিকে দলের বাইরের দরজা দেখানো হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কারণ বয়স কারণ হলে ভারতীয় কিপারদের মধ্যে অন্যতম ফিট ও টেকনিক্যালি পারফেক্ট ঋদ্ধি। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে যে ম্য়াচে শেষ সুযোগ পেয়েছিলেন ঋদ্ধি সেখানেও দলের প্রয়োজনে খেলেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ অর্ধশতরানের ইনিংস। ঋদ্ধিমান সাহা ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর তোলপার ভারতীয় ক্রিকেট। প্রতাবাদের আঁচ শহর কলকাতা থেকে ঋদ্ধিমার বাড়ি শিলিগুড়িতেও। এবার ঋদ্ধি ইস্যতে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে চিঠি শিলিগুড়ি পুর নিগমের প্রাক্তন মেয়র তথা সিপিএম নেতা (CPM Leader) অশোক ভট্টাচার্য (Asok Bhattacharya)।
ঋদ্ধিমান সাহা বাদ পড়ায় আগেই ক্ষোভপ্রকাশ করেছিলেন বর্ষীয়ান বাম নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়র ও শিলিগুড়ির প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। এ বিষয়ে তিনি বিসিসিআইকে চিঠি লিখবেন বলেও জানিয়েছিলেন। এবার সেই চিঠি লিখে ফেললেন অশোক ভট্টাচার্য। সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে তিনি লিখেছেন,'শ্রীলঙ্কা সফরে ভারতীয় ক্রিকেট দলে উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহাকে দেখতে না পেয়ে কিছুটা হতাশা থেকেই তোমাকে এই চিঠিটি লেখা। তোমার মতো ঋদ্ধিমানকে (আমাদের পাপালি) নিয়েও আমাদের গর্ব। তোমাদের নিয়েই বাংলার আবেগ। ঋদ্ধিমানের দল থেকে বাদ পড়াটা আমাদের কাছে খুবই দুঃখের। যেমন দুঃখ পেয়েছিলাম তুমিও যখন বঞ্চনা এবং ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলে।' তোমার কাছে সমগ্র শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গবাসীর একটাই অনুরোধ, ঋদ্ধিমান সাহার ভারতীয় ক্রিকেট দল থেকে বাদ পড়াটা পুনর্বিবেচনা করা যায় কিনা তা দেখার। একেবারেই ব্যক্তিগত ভাবে তোমাকে এই চিঠিটি লেখা।'
প্রসঙ্গত, এর আগে ঋদ্ধি ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ায় শিলিগুড়ির একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন স্থানীয়রা। শিলিগুড়ির অগ্রগামী সংঘে ক্রিকেট শিখে বড় হয়েছেন ঋদ্ধিমান। শিলিগুড়িতে 'পাপালি' নামেই পরিচিত তিনি। এই ক্রিকেট কোচিং সেন্টারে অনুশীলন করেই প্রথমে রনজি ট্রফি তারপর ভারতীয় দলে জায়গা করে নেন তিনি। তাঁকে দেখেই শিলিগুড়িতে ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ বাড়ে উঠতি ক্রিকেটারদের। এমনকী ঋদ্ধির থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে পরবর্তীতে ভারতীয় দলে জায়গা করে নেন শিলিগুড়ির মেয়ে রিচা ঘোষও। কিন্তু হঠাৎ করে একপ্রকার জোর করে ঋদ্ধিমানকে ভারতীয় দল থেকে বাদ দেওয়ায় মন খারাপ শিলিগুড়িবাসীর। তাঁরা জাতীয় নির্বাচন মণ্ডলীর এই সিদ্ধান্ত কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।