সংক্ষিপ্ত
- সাহসী সিদ্ধান্ত ইংল্যান্ড মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়কের
- করোনা মোকাবিলায় হিথার নাইট যোগ দিলেন জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবায়
- সঠিক জায়গায় ওষুধ পৌছানো ও মানুষকে সচেতন করছেন হিথার নাইট
- নাইটের সিদ্ধান্তকে কুর্নিশ ব্রিটেন যুক্তরাষ্ট্র তথা গোটা বিশ্বের
কিছু দিন আগেই ফিরেছেন অস্ট্রেলিয়া থেকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে। ভারতের বিরুদ্ধে সেমিফাইনাল ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ায় ভাগ্যের কাচে হেরে বিদায় নিতে হয়ছিল ইংল্যান্ড দলকে। দেশে ফিরে ছুটিতেই ছিলেন ইংল্যান্ড মহিলা দলের অধিনায়ক হিথার নাইট। কিন্তু বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাস মহামারীর আকার নেওয়ায় নিজেকে আর ঘরে আটকে রাখতে পারলেন না তিন। ব্রিটেনে ভয়ংকর চেহারা নিয়েছে করোনা। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। প্রায় ১৫ হাজারের বেশি মানুষ এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। সংকটজনক পরিস্থিতিতে সরাসরি নিজেকে দেশের জন্য নিমজ্জিত করলেন ইংল্যান্ড মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিথার নাইট। জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবায় যোগ দিলেন তিনি।
আরও পড়ুনঃকরোনা যুদ্ধে গৌতম গম্ভীর দিলেন এক কোটি টাকা, রাহানে দিলেন ১০ লক্ষ
গত মঙ্গলবার ইংল্যান্ডে এনএইচএস আবেদন রেখেছিল, মারণ এই ভাইরাস সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে আড়াই লক্ষ স্বেচ্ছাসেবক দরকার। তাঁদের কাজ রোগীদের বাড়িতে ওষুধ পৌঁছে দেওয়া, গাড়ি চালিয়ে আক্রান্তদের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া বা বাড়ি নিয়ে আসা। আইসোলেশনে থাকা মানুষদের ফোন করে খোঁজখবর নেওয়া। ইতিমধ্যেই এনএইচএস-এর সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছেন ৭০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন হিদার নাইটও। সঠিক জায়গায় ওষুধ সঠিকভাবে পৌঁছে যাচ্ছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব এখন নাইটের কাঁধে। সেই সঙ্গে দেশবাসীকে এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উদ্বুদ্ধ করছেন তিনি। প্রত্যেককে সচেতনতার বার্তাও দিচ্ছেন। মানুষের সঙ্গে কথা বলে সেল্ফ আইসোলেশনের প্রয়োজনীয়তাও বোঝাচ্ছেন।
আরও পড়ুনঃকেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে সরব হরভজন, লকডাউনের আগে পরিযায়ী শ্রমিকদের কথা ভাবা উচিত ছিল
আরও পড়ুনঃফের করোনা মোকাবিলায় ৩২ কোটি টাকা দিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো
সমাজের জন্য কাজ করতে পেরে উচ্ছ্বসিত নাইট। বলছেন, ‘‘হাতে প্রচুর অবসর সময় ছিল। তাই যতটা সম্ভব সমাজের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা করতে চাই। আমার দাদা ও তাঁর সঙ্গী চিকিৎসক। আমার বেশ কয়েক জন বন্ধুও এনএইচএস-এ কাজ করে। তাই জানি, এই সময়টা কতটা কঠিন আর কী শক্ত পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে ওরা।’’ এছাড়াও ইংল্যান্ড অধিনায়ক বলেছেন ‘‘আমি রোজ গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে আক্রান্ত মানুষের বাড়িতে ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছি। আর যাঁরা স্বেচ্ছাবন্দি হয়ে রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে জনসংযোগের কাজটিও করতে হচ্ছে। কেউ বাড়িতে একা থাকলে তাঁকে ফোন করে কথা বলে প্রয়োজনীয় পরার্মশও দিচ্ছি।’’ দেশের বিপদের সময় হিথার নাইটের এই সিদ্ধান্তকে শুধু ব্রিটেন নয়, কুর্নিশ জানিয়েছে গোটা বিশ্ব।