সংক্ষিপ্ত

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট (international cricket) থেকে অবসর ঘোষণা করলেন ইংল্যান্ডের (England) বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়র ইয়ন মর্গ্যান (Eoin Morgan)। ইসিবির (ECB)তরফে জানানো হল মর্গ্যানের অবসর নেওয়ার কথা। 
 

জল্পনা বেশ কিছু দিন ধরেই চলছিল। অবশেষে তাতে ইতি পড়ল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন ইংল্য়ান্ডের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তার হাত ধরেই ২০১৯ সালে প্রথমনাপ একদিনের ক্রিকেটে বিশ্বজয় করার স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল ইংল্য়ান্ডের। এবার নিজের কিট ব্যাগ তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন ইয়ন মর্গ্যান। বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই ছন্দে ছিলেন না মর্গ্যান। ব্য়াটে ছিল রানের খরা। এমনকী নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে দুটি একদিনের আন্তর্জাতিকে পরপর শূন্য রানে আউট হওয়ার পরই অবসর নেওয়ার বিষয়টি তিনি চূড়ান্ত করে ফেলেছিলেন তারকা ক্রিকেটার। তবুও ভারতে বিরুদ্ধে সীনিত ওভারের সিরিজে মর্গ্যা খেলবে বলে আশা করা হয়েছিল। কিন্তু তার আগে জীবনের বড় সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেললেন ইয়ন মর্গ্যান।

মঙ্গলবার ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইয়ন মর্গ্যানের অবসরের সিদ্ধান্তেরে কথা ঘোষণা করা হয়। সোশ্য়াল মিডিয়ায় ইয়ন মর্গ্যানেরে বিশ্বকাপ জয় সহ নানা মুহূর্তের ছবি তুলে ধরে ইসিবির তরফে লেখা হয়,'একজন আবিষ্কারক, একজন অনুপ্রেরণা, একজন সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন। তুমি চির স্মরমীয় হয়ে থাকবে। ধন্যবাদ মর্গ্যান'। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে অবসরের পর ইয়ন মর্গ্যান জানিয়েছেন  'আমি যা অর্জন করেছি তার জন্য আমি অত্যন্ত গর্বিত, কিন্তু আমি যা লালন করব এবং সবচেয়ে বেশি মনে রাখব তা হল আমি আমার পরিচিত কিছু সেরা মানুষের সাথে তৈরি করা স্মৃতি।' ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষ কর্তা রব কি বলেন,'মর্গ্যানের মতো বড় মাপের ক্রিকেটার এবং অধিনায়ক খেলাটাই পাল্টে দিয়েছিলেন। একটা প্রজন্মকেই পাল্টে দিয়েছেন তিনি। পরের প্রজন্ম কী ভাবে খেলবে সেটার উপরেও প্রভাব রয়েছে মর্গ্যানের। আগামী দিনেও মর্গ্যানের প্রভাব থাকবে'। 

 

 

 


প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হাতাশাজনক পারফরম্য়ান্স করার পর ইয়ন মর্গ্যানের হাতে দলের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল ইসিবি। মর্গ্যান দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সাদা বলের ক্রিকেটে পাল্টে যেতে শুরু করে ইংল্যান্ড। অবশেষে ২০১৯ সালে ঘরের মাঠে মর্গ্যানের নেতৃত্বে নিজেদের প্রছম একদিনের  বিশ্বকাপ জেতে ইংল্যান্ড দল। এছাড়াও মর্গ্যানের অধিনায়কত্বে এর অন্য উচ্চতায় পৌছে যায় ইংল্যান্ড ক্রিকেট। টি-টোয়েন্টি এবং এক দিনের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডকে আইসিসির ক্রমতালিকায় এক নম্বরে নিয়ে যান মর্গ্যান। তাঁর নেতৃত্বে প্রায় সব বড় দলকেই হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ৬০ শতাংশ ম্যাচে জয় পেয়েছেন অধিনায়ক মর্গ্যান।

নিজের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ১৬টি টেস্ট ম্য়াচ খেলেছেন ইয়ন মর্গ্যান। ২টি শতরান ও ৩টি অর্ধশতরান করেছেন ৭০০ রান। লাল বলের ক্রিকেটে খুব একটা সফল নন তিনি। তাই আগেই বিদায় জানিয়েছিলেন টেস্ট ক্রিকেটকে। একদিনের ক্রিকেটে ২৪৮টি ম্য়াচ খেলে ৩৯.০৯ গড়ে মর্গ্যান করেছেন ৭৭০১ রান। রয়েছে ১৪টি শতরান ও ৪৭টি অর্ধশতরান। টি২০ ক্রিকেটে করেছেন ১১৫টি ম্য়াচে ২৮.৫৮ গড়ে ২৪৫৮ রান। ১৪টি অর্ধশতরান করেছেন তিনি। আইপিএলে ২০২১ সালে কেকেআরকে ফাইনালে তুলেছিলেন অধিনায়ক মর্গ্যান। আইপিএলে ৮৩ ম্য়াচে ২২.৬৬ গড়ে করেছেন ১৪০৫ রান। রয়েছে ৫টি অর্ধশতরান। অবসরের পর মর্গ্যানকে আগামি জীবনের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সকলে।