সংক্ষিপ্ত

  • প্রয়াত ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক বব উইলিস
  • ইংল্যান্ডের হয়ে ৯০টি টেস্ট খেলেছিলেন
  • খেলা ছাড়ার পর তিনি ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করতেন
  • ১৯৮১-তে ইংল্যান্ডের বিখ্যাত অ্যাসেজ জয়ের পিছনে তাঁর মুখ্য ভূমিকা ছিল

 

প্রয়াত ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক বব উইলিস। বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। ১৯৮১ সালে তাঁর বোলিং-এর দাপটেই অ্যাসেজ সিরিজে বিখ্যাত জয় পেয়েছিল ইংল্যান্ড। লম্বা অথচ বাঁকা রান-আপ নিয়ে বল করার জন্যই তিনি পরিচিত ছিলেন। ১৯৭১ থেকে ১৯৮৪ সালের মধ্যে মোট ৯০টি টেস্ট ও ৬৪টি একদিনের ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি। তাঁর ঘনিষ্ঠরা বলেন, ২২ গজে যেমন ক্ষুধার ছিল তাঁর বোলিং, মাঠের বাইরে তেমনই ছিল তাঁর রসবোধ।

টেস্ট ক্রিকেটে মোট ৩২৫টি উইকেট আছে বব-এর। সেই সঙ্গে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিয়েছিলেন ৮৯৯টি উইকেট। তবে তাঁর এই পরিসংখ্যান আরও উন্নত হতে পারতচ বলে মনে করেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। ১৯৭৫ সালে কেরিয়ারের মধ্যগগনে তাঁর দুই হাঁটুতেই অপারেশন করতে হয়। তারপরও তাঁকে থামানো যায়নি। যন্ত্রনা নিয়েই আরও ৯ বছর খেলে গিয়েছিলেন। খেলা ছাড়ার পর তিনি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করতেন। নিজের দেশের ক্রিকেট দলেরই তীব্র ব্যাজ্ঞাত্মক সমালোচনা করার জন্য় সেখানেও আলাদা পরিচিতি গড়ে তুলেছিলেন।

তবে তাঁর জীবনের সেরা মুহূর্ত এসেছিল ১৯৮১ সালে। অ্যাসেজ সিরিজের তৃতীয় টেস্টে, নিশ্চিত হারের মুখে দাঁড়িয়েছিল ইংল্যান্ড। সেখান থেকে ব্যাট হাতে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন ইয়ান বথাম। আর তারপর বব উইলিস মাত্র ৪৩ রানে ৮ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে ১৮ রানে জয় এনে দিয়েছিলেন। এই একটি টেস্টের জন্যই অ্য়াসেজ সিরিজের ইতিহাসে বব উইলিস-এর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

স্বাভাবিকভাবেই বব-এর প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমেছে ক্রিকেট মহলে। শুধু প্রাক্তন ও বর্তমান ইংরেজ ক্রিকেটাররাই নন, বব-এর সমসাময়িক অন্যান্য দেশের ক্রিকেটাররাও গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড তাঁকে ক্রিকেটের এক প্রিয় বন্ধু বলে উল্লেখ করেছে।

View post on Instagram