সংক্ষিপ্ত

কমনওয়েলথ গেমসের ( Commonwealth Games 2022) সেমি ফাইনালে ইংল্য়ান্ডকে হারাল ভারত। ম্য়াচে  প্রথমে ব্যাট করে ১৬৪ রান করে মহিলা টিম ইন্ডিয়া। জবাবে ১৬০ রানে থামে ইংল্য়ান্ড।

ব্যাটে বলে দুরন্ত পারফরম্যান্স ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের। কমনওয়েলথ গেমস ক্রিকেটে ইংল্য়ান্ডকে হারিয়ে পদক নিশ্চিৎ করল মহিলা টিম ইন্ডিয়া । রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ৪ রানে জয় পেল ভারত। ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক রহমনপ্রীত কউর। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে  নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান করে টিম ইন্ডিয়া। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন স্মৃতি মন্ধনা। ৪৪ রান করেন জেমিমা রড্রিগেজ, ২২ রান করেন দীপ্তি শর্মা ও ২০ রান করেন হরমনপ্রীত কউর। রান তাড়া করতে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান করে ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন ন্য়াট স্কিভার। এছাড়া ড্যানি য়াট ৩৫, অ্যামি জোনস ৩১ রান করেন। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ২উইকেট নেন স্নেহ রানা। 

টস জিতে ভারতীয় দলের ইনিংসের শুরুটা খুব ভালো করেন দুই ওপেনার স্মৃতি মন্ধনা ও শেফালি ভার্মা। প্রথম থেকেই বিধ্বংসী মেজাজে ব্য়াট করতে থাকেন স্মৃতি মন্ধনা।  একের পর এক মারকাটারি শট খেলতে থাকেন তিনি। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ পূরণ করে ফেলেন দুই ভারতীয় ওপেনার। ঝড়ের গতিতে নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন স্মৃতি মন্ধনা।  অবশেষে ৭৬ রানে প্রথম উইকেট পড়ে ভারতের। ১৫ রান করে ফেরায়া ক্যাম্পের বলে আউট হন শেফালি ভার্মা। জুটি ভাঙতেই সাজঘরে ফেরেন স্মৃতি মন্ধনা। ৭৭ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে। ৩২ বলে ৬১ রান করে ন্যাট স্কিভারের বলে আউট হন স্মৃতি মন্ধনা। এরপর হরমনপ্রীত কউর ও জেমিমা রড্রিগেজ মিলে ২৯ রান জুটিতে যোগ করেন। দলের ১০৬ রানে ব্যক্তিগত  ২০ রান করে ফেরায়া ক্যাম্পের দ্বিতীয় শিকার হন হরমনপ্রীত কউর। এরপর জেমিমা রড্রিগেজ ও দীপ্তি শর্মা  মিলে এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোরবোর্ড। জেমিমা ও দীপ্তি জুটি নিজেদে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন। শেষ ওভারে দলের ১৫৯ রানের মাথায়  ২২ রান করে ক্যাথরিন ব্রান্টের বলে আউট হন দীপ্তি শর্মা। ক্রিজে এসে খাতা না খুলেই রানম আউট হন পুজা ভাস্ত্রাকার। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান করে ভারতীয় মহিলা দল। ৩১ বলে ৪৪ রান করে অপরাজিত থাকেম জেমিমা রড্রিগেজ। 

রান তাড়া করতে নেমে ঝোড়ো শুরু করেন ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার সোফিয়া ডাঙ্কলে ও ড্য়ানি ওয়াট। ২৮ রানে প্রথম উইকেট পড়ে ইংল্য়ান্ডের। ১৯ রান করে দীপ্তি শর্মার বলে আউট হন  সোফিয়া ডাঙ্কলে। এরপর ড্য়ানি ওয়াট ও অ্যালাইস ক্যাপসে মিলে এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোর বোর্ড। বেশ কিছু আক্রমণাত্মক শট খেলেন ওয়াট। ৬৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে ইংল্যান্ডের। ১৩ রান করে দুর্ভাগ্যবশত রান আউট হন ক্যাপসে। ড্যানি ওয়াটকে সঙ্গ দেন ন্য়াট স্কিভার। তবে তারা বড় পার্টনারশিপ করতে পারেননি। ৮১ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে। ৩৫ রান করে স্নেহ রানার বলে আউট হন ড্যানি ওয়াট। এরপর দলের ইনিংসের রাশ ধরেন ন্যাট স্কিভার ও অ্য়ামি জোনস। দুজন মিলে ঠান্ডা মাথায় এগিয়ে নিয়ে যান দলকে। সুযোগ পেলেই খেলেছেন আক্রমণাত্মক শট। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন তারা। ১৩৫ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ে। ৩১ রান করে ররান আউট হন অ্যামি জোনস। এরপর ন্যাট স্কিভার ছিল ইংল্যান্ডের একমাত্র জয়ের আশা। কিন্তু দলের ১৫১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪১ রানে রান আউট হন তিনিও।  রুদ্ধশ্বাস ম্য়াচে শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৪ রান। ১৫২ রানে ষষ্ঠ উইকেট পড়ে ইংল্যান্ডের। খতা না খুলে ক্যাথেরিন ব্রান্ট আউট হন স্নেহ রানার বলে। শেষ পর্যন্ত ১৬০ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ডের ইনিংস। ৪ রানে ম্য়াচ জিতে ফাইনালের টিকিট ও পদক জয় নিশ্চিৎ করল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল।