সংক্ষিপ্ত
কেপ টাউনে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা (India vs South Africa) টেস্ট। প্রথম ইনিংসে ভারতের ২২৩ রানের জবাবে ডিন এলগারের (Dean Elgar)দলের ইনিংশ শেষ ২১০ রানে। প্রথম ইনিংসে ১৩ রানের লিড পেল বিরাট কোহলির (Virat Kohli)দল।
কেপটাউন (Cape Town)সিরিজ নির্ণায়ক টেস্টে প্রথম ইনিংসে একদিকে ১৩ রানে লিড পেলেও, দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে দুই ওপেনার কেএল রাহুল ও মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে হারিয়ে চাপও বজায় থাকল টিম ইন্ডিয়ার (Team India)উপর। ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার (India vs South Africa) তৃতীয় টেস্টে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে দুই দলের। পেন্ডুলামের কাটার মত কখনও ম্য়াচ ঝুকছে বিরাট কোহলির (Virat Kohloi)দলের দিকে, কখনও আবার তা ডিন এলগারের দলরের (Den Elgar)পক্ষে। প্রথম ইনিংসে ভারতের করা ২২৩ রানের জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিমংস শেষ হয় ২১০ রানে। সৌজন্য়ে ভারতীয় পেসারদের অনবদ্য বোলিং। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৩ রানের লিড হলেও মেন্টাল অ্যাডভান্টেজ যায় বিরাটের দলের দিকে। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট তুলে নিয়ে ম্য়াচে টিকে রয়েছে প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় দিনের শেষে ভারতের স্কোর ৫৭ রানে ২ উইকেট। ক্রিজে রয়েছেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও চেতেশ্বর পুজারা।
১৭ রানে ১ উইকেট থেকে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু শুরুতেই জসপ্রীত বুমরার বলে বোল্ড হয়ে প্যাভলিয়নে ফেরত যান আইডেন মার্করাম। এরপর কিছুটা লড়াই চালান নাইট ওয়াচম্য়ান কেশব মহারাজ ও কেগান পিটারসেন। ছোট হলেও ২৫ রানের প্রয়োজনীয় ইনিংস খেলেন কেশব মহারাজ। পিটারসেনের সঙ্গে ২৮ রানের পার্টনারশিপ করেন তিনি। ৪৫ রানে তৃতীয় উইকেট পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার। ৩ উইকেট হারানোর পর দলের ইনিংসের রাশ ধরেন কেগান পিটারসেন ও ভ্যান ডার ডুসেন। বিশেষ করে বেশ কিছু অনবদ্য শট খেলেন পিটাসেরসেন। লাঞ্চের আগেই অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ করেন দুই তারকা ব্য়াটসম্যান। মধ্যাহ্ন বিরতি পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ছিল ১০০ রানে ৩ উইকেট। লাঞ্চের পর বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি পিটারসেন ও ডুসেন পার্টনারশিপ। দলের ১১২ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২১ রানে আউট হন ভ্যান ডার ডুসেন। অপরদিকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান পিটারসেন। নিজের অর্ধশতরানও পূরণ করেন তিনি। টেম্বা বাভুমার সঙ্গে ৪৭ রানের পার্টনারশিপ করেন পিটারসেন। ব্যক্তিগত ২৮ রানে আউট হন টেম্বা বাভুমা। এরপর আর কোনও ব্যাটসম্যান বড় স্কোর করতে পারেনি। কাইল ভেরেনি ০ ও মার্কো জেনসন আউট হন ৭ রান করে। চা বিরতির পর ব্যক্তিগত ৭২ রানে পিটারসেন আউট হতেই দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। রাবাডা করেন ১৫ রান, ৩ রান করেন এনগিডি, ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন অলিভিয়ের। ২২৩ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের হয়ে একাই ৫ উইকেট নেন বুমরা। ২টি করে উইকেট নেন উমেশ যাদবব ও মহম্মদ শামি, একটি উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর।
১৩ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্য়াট করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতীয় দলের। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসারদের দাপটে দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ হন দুই ভারতীয় ওপেনার। ২০ রানে প্রথম উইকেট পরে ভারতের। ৭ রান করে রাবাডার বলে আউট হন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। তার ঠিক পরেই দলের ২৪ রানে প্যাভেলিয়নে ফেরত যান কেএল রাহুলও। ১০ রান করে মার্কো জানসেনের শিকার হন তিনি। এরপর প্রথম ইনিংসের মতই ইনিংসের হাল ধরেন চেতেশ্বর পুজারা ও অধিনায়ক বিরাট কোহলি। দিনের শেষ পর্যন্ত উইকেট বাঁচিয়ে ধৈর্য্য ধরে ব্য়াট করে যান। দিনের শেষে কোহলি অপরাজিত ১৪ রানে ও পুজারা অপরাজিত ৯ রানে। তৃতীয় দিনে ভারতীয় দলকে বড় স্কোর করতে হলে অনেকটাই নির্ভর করতে হবে পুজারা-কোহলি জুটির উপর।