সংক্ষিপ্ত
- দেশ জুড়ে ক্রমশ বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা
- এই পরিস্থিতিতে দেশের মাটিতে আইপিএল করা ক্রমশ অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে
- সম্ভবত এই বছরের আইপিএল হতে চলেছে আরব দেশে তা একপ্রকার নিশ্চিত
- ইতিমধ্যেই বিদেশের মাটিতে আইপিএল নিয়ে পরিকল্পনা তৈরি হয়ে গিয়েছে বলেও খবর
একদিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাতিল এক প্রকার নিশ্চিত। পরবর্তী আইসিসি বৈঠকেই হতে পারে চূড়ান্ত সিুদ্ধান্ত। যার ফলে ক্রমশ উজ্জ্বল হচ্ছে চলতি বছরে আইপিএল হওয়ার সম্ভাবনা। দেশের মাটিতেই বিসিসিআইয়ের আইপিএল আয়োজিত করা প্রথম পছন্দ হলেও, দেশ জুড়ে যেভাবে করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের মাত্রা বাড়ছে তাতে অশনি সংকেত দেখছে বিসিসিআই কর্তারা। ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে বিসিসিআই সূত্রে খবর, বিদেশের মাটিতে আইপিএল করা একপ্রকার ঠিক করে ফেলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। সেক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতেই হতে চলেছে এবারের আইপিএল। বিসিসিআই সূত্রে খবর ইতিমধ্যেই আরব দেশে আইপিএলের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করে ফেলেছে বিসিসিআই। প্রধানত যে পরিকল্পনাগুলি করেছে সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড সেগুলি হল-
আরওপড়ুনঃকরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়
আরও পড়ুনঃকরোনা পরীক্ষা হতে পারে সৌরভ গঙ্গোাধ্যায়ের,হোম কোয়ারেন্টাইনে গোটা পরিবার
১) টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে আইসিসির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য শুধু অপেক্ষা করে রয়েছে বিসিসিআই। আইসিসি টি-টোয়েনটি বিশ্বকাপ বাতিল করলেই ঘোষণা করলেই তড়ঘড়ি আইপিএল ২০২০-এর ক্রীড়সূচি ঘোষণা করবে বিসিসিআই।
২)শুধু আইপিএলের আয়োজনই নয়, আরব দেশে অনুশীলনও করতে পারে ভারতীয় ক্রিকেটাররা। বিসিসিআই সূত্রে খবর, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বাতিল ঘোষণা হওয়য়ার পর, প্রথম দু-সপ্তাহ আমিরশাহিতেই অুনুশীলন করবে ভারতীয় ক্রিকেটাররা। মোট ৩৫ থেকে ৪০ ক্রিকেটার অংশ নেবে এই অনুশীলন শিবিরে।
৩) ভারতীয় ক্রিকেটারদের অনুশীলনের দিনক্ষণও ঠিক করে ফেলেছেন বিসিসিআই কর্তারা। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই অনুশীলন শুরু হবে ভারতীয় প্লেয়ারদের। সেই অনুশীলন শিবির চলবে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। প্লেয়ারদের ম্যাচ ফিট করে তোলা ও চোট আগাত থেকে মুক্ত থাকার জন্যই এই উদ্যোগ ভারতীয় বোর্ডের।
৪) অনুশীলন চলাকালীনই আইপিএলের বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি দলগুলি পৌছে যাবে আমিরশাহিতে। তারাও তাদের মত সব কিছু গুছিয়ে নিতে শুরু করবে। তাদের বেশ কিছু দিন সময় দেওয়া হবে সব ঠিক করে নেওয়ার জন্য।
৫) অনুশীলন শিবির শেষে আর দেশে ফিরবেন না কোনও ভারতীয় ক্রিকেটার। সেখান থেকে নিজে নিজের ফ্র্যাঞ্চাইজি দল ভাগ হয়ে যাবেন অর্থাৎ নিজের নিজের আইপিএলের দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।
৬) সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বিসিসিআই পরিকল্পনা অনুসারে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে আরবভূমেই শুরু হবে ভারতের একমাত্র কোটিপতি ক্রিকেট লিগ। যা শেষ হবে ৮ নভেম্বর। অর্থাৎ প্রায় দেড় মাস ধরে বিদেশের মাটিতেই চলবে ২০২০ মরসুমের আইপিএল।
৭) আরব দেশে হলেও সম্পূর্ণ কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ম্যাচ করবে বিসিসিআই। দর্শকশূন্য স্টেডিয়াম তো বটেই প্লেয়ার, কোচ, সাপোর্টিং স্টাফ থেকে শুরু করে আইপিএলের সঙ্গে যুক্তি কোনও ব্যক্তির স্বাস্থ্য নিয়ে কোনওরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ বিসিসিআই। তাই লাগু হবে একাধিক নিয়ম।
৮) আইপিএল শেষে যেসব প্লেয়াররা অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য মনোনীত হবেন তারা আমিরশাহি থেকেই সরাসরি চলে যাবেন অস্ট্রেলিয়ায়। আর বাদবাকিরা প্লেয়াররা ফিরে আসবেন দেশের মাটিতে।
ব্লু প্রিন্ট তৈরি। বিসিসিআই স্টেকহোল্ডার এবং ফ্র্যাঞ্চাইজিদের পাশাপাশি ব্রডকাস্টারদের সঙ্গে সরকারিভাবে ১৭ জুলাই বিসিসিআই-এর অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠকে এই নিয়ে আলোচনা হবে বিস্তারিত। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। আরও একবার দেশের মাটিতেও আইপিএল করা যায় কিনা, সেই চেযষ্টাও করবে বিসিসিআই। কিন্তু তা হওয়ার সম্ভাবনা কমই। ফলে বিদেশের মাটিতেই চলতি বছরের আইপিএলের আসর বসতে তা একপ্রকার নিশ্চিৎ বলেই জানাচ্ছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।