সংক্ষিপ্ত

আইপিএল ২০২২-এর মেগা ফাইনালে (IPL 2022 Final) মুখোমুখি হতে চলেছে  গুজরাট টাইটানস বনাম রাজস্থান রয়্যালস ( GT vs RR)।   প্রথমে ব্য়াট করে ১৩০ রান করল রাজস্থান রয়্যালস। গুজরাটের লক্ষ্য ১৩১। 

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ঘরের মাঠে আইপিএল ২০২২- এর ফাইনালের প্রথমার্ধে দুরন্ত বোলিং করল গুজরাট টাইটানস। প্রতিপক্ষ দলে জস বাটলার, সঞ্জু স্য়ামসন  সহ একাধিক তারকা ব্য়াটসম্য়ান থাকলেও কেউ এদিন বড় স্কোর করতে পারলেন না। ফাইনালে বল হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে অনবদ্য বোলিং করলেন গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। যার ফলে আরও একটি লো স্কোরিং আইপিএল ফাইনালের সাক্ষী ক্রিকেট প্রেমিরা। ম্য়াচে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান করল রাজস্থান রয়্যালস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন জস বাটলার। এছাড়া ২২ রান করেন যশশ্বী জয়সওয়াল। এছাড়া কোনও রাজস্থান ব্যাটসম্যান ২০ রানের গণ্ডী টপকাতে পারেননি। গুজরাটের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। 

 

 

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা শুরুটা খুব একটা খারাপ করেনি রাজস্থান রয়্যালস। কিন্তু তারপর গুজরাট টাইটানসের আটোসাঁটো বোলিং ও নিয়মিত ব্যবধানে রাজস্থানের উইকেট হারানো চাপ বাড়ায় সঞ্জু স্যামসনের দলের উপর। এদিন ওপেনিং করতে নেমে ৩১ রানের পার্টনারশিপ করেন জস বাটলার ও যশশ্বী জয়সওয়াল। ব কিছু আক্রমণাত্মক শট খেলেন যশশ্বী। কিন্তু দলের ৩১ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ২২ রান করে যশ দয়ালের বলে আউট হন যশশ্বী জয়সওয়াল। এরপর ক্রিজে আসেন সঞ্জু স্য়ামসন। জস বাটলারের সঙ্গে ২৯ রান জুটিতে যোগ করলেও বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হন রাজস্থান অধিনায়ক। ৬০ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে রাজস্থানের। ১৪ রান করে রাজস্থান অধিনায়ক আউট হন গুজরাট টাইটানস হার্দিক পান্ডিয়ার বলে। 

 

 

অপরদিকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন জস বাটলার। কিন্তু বড় রান করতে পারেননি দেবদূত পাড়িকলও। দলের ৭৯ রানের মাথায় ২ রান করে রাশিদ খানের বলে আউট হন পাড়িকল। পরপর উইকেট হারানোয় চাপ বাড়ে বাটলারের উপর। দলের ৭৯ রানের মাথায় ফের বড় উইকেট শিকার করেন হার্দিক। ৩৯ রান করে আউট হন জস বাটলার।  এরপর পুরো চেপে ধরে গুজরাট। দলের ৯৪ রানের মাথায় পঞ্চম উইকেট পড়ে রাজস্থান রয়্যালসের। ১১ রান করে হার্দিক পান্ডিয়ার তৃতীয় শিকার হন শিমরন হেটমায়ার। এরপর ক্রিজে বেশি সময় দাঁড়াতে পারেননি রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দলের ৯৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬ রান করে সাই কিশোরের বলে আউট হন অশ্বিন। এরপর রিয়ান পরাগ ও ট্রেন্ট বোল্ট মিলে ১৪ রান যোগ করেন। ১১২ রানে পড়ে সপ্তম উইকেট। ১১ রান করে সাই কিশোরের বলে আউট হন ট্রেন্ট বোল্ট। শেষের দিকে ব্য়াট করেন ওবেড ম্য়াককয় ও রিয়ান পরাগ। কয়েকটি আক্রমণাত্মক শট খেলেন দুজন। শেষ ওভারে ব্যক্তিগত ৮ রানে রান আউট হন ম্যাককয়।  শামির শেষ ডেলিভারিতে ব্যক্তিগত ১৫ রান করে বোল্ড হন রিয়ান পরাগ। ৯ উইকেটে ১৩০ করল রাজস্থান রয়্যালস।