সংক্ষিপ্ত
আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) -এর গুরুত্বপূর্ণ ম্য়াচে মুখোমুখি গুজরাট টাইটানস ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর (RCB vs GT)। ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াট করে ১৬৮ রান করল গুজরাট। সর্বোচ্চ ৬২ রান করলেন হার্দিক পান্ডিয়া। রান তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেটে ৮ বল বাকি থাকতে জয় পায় আরসিবি। সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন বিরাট কোহলি।
লিগ টপার গুজরাট টাইটানসকে সহজেউ হারিয়ে আইপিএলের শেষ চারের লড়াইয়ে টিকে থাকল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর। হার্দিক পান্ডিয়ান্ট দলকে ৮ উইকেট হারায় ফাপ ডুপ্লেসি দল। ম্য়াচে টস জিতে ব্য়টিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাট। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান করল গুজরাট টাইটানস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেন হার্দিক পান্ডিয়া। এছাড়া ৩৪ রান করেন ডেভিড মিলার ও ৩১ রান করেন ঋদ্ধিমান সাহা। শেষের দিকে ঝোড় ১৯ রানের ইনিংস খেলে রাশিদ খান। আরসিবির হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন হ্যাজেলউড ও একটি করে উইকেট নেন গ্লেন ম্য়াক্সওয়েল ও হাসরঙ্গা। রান তাড়া করতে নেমে ১৮ ওভার ৪ বলে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায় আরসিবি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন বিরাট কোহলি। এছাড়া ৪৪ রান করেন ফাফ ডুপ্লেসি ও ৪০ রান করেন গ্লেন ম্য়াক্সওয়েল।
এদিন টস জিতে ব্যাট করে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো করতে পারেনি গুজরাট টাইটানস। ওপেনিংয়ে নেমে বড় রান পাননি শুবমান গিল। ২১ রানে প্রথম উইকেট পড়ে গুজরাটের। ১ রান করে হ্য়াজেলউডের বলে আউট হন গিল। ব্যর্থ হন ম্য়াথু ওয়েডও। ৩৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট পড়ে। ১৬ রান করে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে আউট হন ওয়েড। এরপর হার্দিক পান্ডিয়া ও ঋদ্ধিমান সাহা কিছুটা এগিয়ে নিয়ে যান দলের স্কোর। দলের ৬২ রানে ৩১ রান করে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরত যান ঋদ্ধিমান সাহা। এরপর ইনিংসের রাশ ধরেন ডেভিড মিলার ও হার্দিক পান্ডিয়া। অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ পূরণ করে দুই তারকা। ১২৩ রানে পড়ে চতুর্থ উইকেট। ৩৪ রান করে ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গার বলে আউট হন ডেভিড মিলার। অপরদিক থেকে নিজের ইনিংস চালিয়ে যান গুজরাট টাইটানস অধিনায়ক। ব্য়াট হাতে এদিন ব্যর্থ হন রাহুল তেওয়াটিয়া। দলের ১৩২ রানের মাথায় ২ রান করে জস হ্যাজেলউডের বলে আউট হন তেওয়াটিয়া। এরপর ক্রিজে আসেন রাশিদ খান। অপরদিকে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন হার্দিক। শেষ ওভারে বিধ্বংসী ব্য়াটিং করেন রাশিদ খান ও হার্দিক পান্ডিয়া। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান করে গুজরাট টাইটানস। ৪৭ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন হার্দিক পান্ডিয়া। ১৯ রান করে অপরাজিত থাকেন রাশিদ খান।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা খুবই ভালো করে আরসিবির দুই ওপেনার বিরাট কোহলি ও ফাফ ডুপ্লেসি। ওপেনিং জুটিতে এই মরসুমের সবথেকে ভালো ইনিংস খেলেন দুই তারকা ব্য়াটসম্য়ান। প্রথমে একটু সেট হওয়ার জন্য সময় নেন তারপর নিজেদের আক্রমণাত্মক ব্য়াটিং করা শুরু করেন। একের পর এক বেশ কিছু চোখ ধাঁধানো শট খেলেন বিরাট কোহলি ও ফাফ ডুপ্লেসি। বেশি আক্রিমণাত্মক মেজাজে ব্য়াট করেন কোহলি। দীর্ঘদিন পর বিরাটকে পুরোনো ছন্দে দেখতে পাওয়ায় খুশি হন ফ্যানেরা। ওপেনিং জুটিতে প্রথমে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ পূরণ করেন বিরাট ও ডুপ্লেসি জুটি। তারপর রানের গতিবেগ আরও বাড়ান। শতরানের পার্টনারশিপও পূরণ করেন তারা। নিজেদের অর্ধশতরান পূরণ করেন বিরাট। ১১৫ রানে প্রথম উইকেট পড়ে আরসিবির। ৪৪ রান করে রাশিদ খানের বলে আউট হন ফাফ ডুপ্লেসি। এরপর দলের স্কোর বোর্ড এগিয়ে নিয়ে যান ম্য়াক্সওয়েল ও কোহলি। প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন ম্য়াক্সওয়েল। ১৪৬ রানে পড়ে দ্বিতীয় উইকেট। ৭৩ রান করে রাশিদ খানের বলে আউট হন বিরাট কোহলি। তবে এপরপ নিজের মারকাটারি ব্যাটিং চালিয়ে যান ম্য়াক্সওয়েল। ৮ বল বাকি থাকতে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে দেন। ৪০ রান করে অপরাজিত থাকেন ম্য়াক্সওয়েল ও ২ রান করে অপরাজিত থাকে দীনেশ কার্তিক। ৮ উইকেটে ম্য়াচ জিতে নিজেদের প্লে অফের আশা বাঁচিয়ে রাখল আরসিবি। মুম্বই বিরুদ্ধে দিল্লি হারলে প্লে অফে পৌছে যাবে বিরাট কোহলি, ফাফ ডুপ্লেসিরা।