সংক্ষিপ্ত

  • করেনা পরিস্থিতির মধ্যে তরুণ ডাক্তারদের ওয়েবিনারে যোগ দিলেন সচনি
  • অন লাইন সেমিনারে প্লেয়ারদের চোট-আঘাত নিয়ে বক্তব্য রাখলেন মাস্টার ব্লাস্টার
  • কীভাবে চোট-আঘাত থেকে বেরিয়ে আসতে হয় সেই অভিজ্ঞতাও শেয়ার করলেন তিনি
  • দেশের প্রায় ১২ হাজার তরুণ চিকিৎসক অংশ নেন ওই অন লাইম সেমিনারে
     

দেশ জুড়ে ক্রমশ বাড়ছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। করোনার বিরুদ্ধে চলছে যুদ্ধও। করোনা মোকাবিলায় দেশের ক্রীড়াবিদরা নানা ভূমিকা পালন করছেন। কখও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সামাজিক সচেতনতার বার্তা, কখনও আবার প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যসরকারের তহবিলে দিচ্ছেন অনুদান। এই পরিস্থিতিতে মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর অংশ নিলেন চিকিৎসা সংক্রান্ত এক অভিনব উদ্যোগে। অনলাইনে ডাক্তারদের একটি সেমিনারে যোগ দিলেন সচিন তেন্ডুলকর।

আরও পড়ুনঃহার্দিক পান্ডিয়ার পর লকডাউনে মুম্বই পুলিসের কাজকে কুর্ণিশ জানালেন রোহিত শর্মা

লকডাউনের সময় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের তরুণ ডাক্তাররা নান বিষয়ে অনলাইনে আলোচনা চক্র বসাচ্ছেন। যাকে বলা হয় ওয়েবিনার। সচিনের পরিচিত এক চিকিৎসকের কাছ থেকে জানতে পারেন প্লেয়ারদের চোট আঘাত নিয়ে একটি অনলাইন সেমিনারের আয়োজন করেছেন তরুণ ডাক্তাররা। তাতে অংশ নিচ্ছেন প্রায় ১২ হাজার চিকিৎসক। জানা মাত্রই সেমিনারে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন মাস্টার ব্লাস্টার। সচিনের উদ্দ্যেশ্য ছিল খেলোয়াড়দের কী ধরনের চোট লাগতে পারে এবং পরবর্তী পর্যায়ে কী ভাবে সেই চোটের ধাক্কা সামলে বেরিয়ে আসতে হয়, সেই সম্পর্কে অবহিত করা। আমা সকলেই জানি, নিজের কেরিয়ারে সব থেকে ভালো সময়ে টেনিস এলবোতে আক্রান্ত হন সচিন। সেই সময় সকলেই ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন সচিনের কেরিয়ার না শেষ হয়ে যায়। সঠিক চিকিৎসা ও মনের জোরে টেনিস এলবোকে হারিয়ে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করেছিলেন লিটল মাস্টার। সে সব মাথায় রেখেই প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা তিনি তরুণ ডাক্তারদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। 

আরও পড়ুনঃফাঁকা গ্যালারিতে আইপিএল সম্ভব, কিন্তু দর্শক শূণ্য বিশ্বকাপ কোনও মতে সম্ভব নয়, বললেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল

আরও পড়ুনঃ২০১৯ বিশ্বকাপের পরই অবসর নেওয়া উচিত ছিল ধোনির, বিস্ফোরক মন্তব্য শোয়েব আখতারের

আলোচনা চক্রে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ১২ হাজার তরুণ চিকিৎসকদের সামনে সচিন ব্যাখ্যা করেন, সাধারণ মানুষের থেকে প্লেয়ারদের চোট-আঘাত কতটা আলাদা, কতটা গুরুত্বপূর্ণ ও সেই চিকিৎসার জন্য কী কী করা উচিৎ।  তাঁদের উদ্দেশে শত শতকের মালিক বলেন, চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত সকলের কাছে তিনি চিরকৃতজ্ঞ থাকবেন। সব সময় তাঁদের থেকে পরিচর্যা পেয়েছেন। আশা প্রকাশ করেন, তাঁর বক্তব্য তরুণ ডাক্তারদের কাজে আসবে।  একইসঙ্গে করোনা ভাইরাসের কারণে বর্তমানে দেশ যে বিপদের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সেই সময় চিকিৎসকরা যে লড়াই করছেন, তাদের সকলকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সচিন তেন্ডুলকর।