সংক্ষিপ্ত
আইপিএল ২০২২ (IPL 2022) চলাকালীন হঠাৎই মুম্বইয়ের লোকাল বাসে দেখা গেল কিংবদন্তী সচিন তেন্ডুলকরকে (Sachin tendulkar)। সোশ্য়াল মিডিয়ায় করলেন একাধিক ছবি শেয়ার।
প্রায় আড়াই দশকের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কেরিয়ার। ৩৪ হাজারের বেশি আন্তর্জাতিক রান। একশো আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি। অসংখ্য ম্য়াচ উইনিং ইনিংস। এই সবকিছুই সচিন তেন্ডুলকারকে (Sachin Tendulkar)মুম্বইয়ের ছোট গলি থেকে শুরু করে 'ক্রিকেট ঈশ্বরের' তকমা দিয়েছিল। জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকেই ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার (Master Blaster)। ২০১৩ সালে ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর পরও কেটে গিয়েছে প্রায় ৯ বছর। তবে বিশ্ব ক্রিকেটে সচিন নামের প্রতি মানুষের ভালোবাসা, উন্মাদনা এতটুকু কমেনি। খ্যাতির শীর্ষে পৌছলেও নিজের ছেলেবেলার কথা এখনও ভোলননি সচিন তেন্ডুলকর। ফের একবার তার প্রমাণ দিলেন মাস্টার ব্লাস্টাক। ডাউন মেমোরি লেনে ফিরে গেলেন ক্রিকেট ঈশ্বর।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়েকটি ছবি শেয়ার করেন সচিন তেন্ডুলকর। যেখানে তাকে দেখায় যায় মুম্বইয়ের লোকাল বাসে। প্রাথমিকভাবে সকলে একটু হকচকিয়ে গেলেও জানা যায় আসলে স্মৃতিচারণা করছেন মাস্টার ব্লাস্টার। নিজের ছেলে বেলাতে ফির যেতেই লোকাল বাসে উঠে কয়েকটি ছবি তোলেন সচিন। ক্য়াপশনে সচিন তেন্ডুলকর লেখেন, শৈশবে ফিরে যাওয়া। মোট চারটি ছবি শেয়ার করছেন সচিন। কোনওটিতে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে লোকাল বাসের দরজায়। কোনওটিতে আবার জানালার ধারের সিটে বসে দিয়েছেন পোজ। দুটি ছবিতে আবার জানালার ফাক থেকে মুখ বাড়িয়ে উপভোগ করছেন প্রকতিতকে, ফিরে যাচ্ছেন ছেলে বেলায়। ঠিক যেমনটা করে শিশুরা। সচিনের ছেলে বেলায় ফিরে যাওয়া শিশু সুলভ আনন্দ পাওয়ার ছবি মনে ধরেছে নেটিজেনদের।
সোমবার সেই শিবাজি পার্কেই গিয়েছিলেন সচিন। সেখানে একটি লোকাল বাসে উঠে বসেছিলেন। শিবাজি পার্কগামী ৩১৫ নম্বর বাসে চেপে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কের সঙ্গে সচিনের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। ছোটবেলায় বান্দ্রার সাহিত্য সহবাসে থাকার সময় প্রতিদিন এই ৩১৫ নম্বর বাসে চেপে ক্রিকেট সাধনায় যেতেই সচিন। প্রয়াত কোচ রমাকান্ত আচরেকরের তত্ত্বাবধানে চলত তাঁর প্রস্তুতি। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় সচিন তেন্ডুলকরের এই ছবি। লাইক ও কমেন্টের বন্য়ায় ভেসে যান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শত সেঞ্চুরির মালিক। শেয়ার করা ছবিতে যেখানে কমেন্টে অনেকেই লেখেন,'এই যাত্রা কোট কোটি মানুষকে অনুপ্রাণিত করছিল'। সচিনও একাধিকবার নিজের ছেলেবেলার স্মৃতির কথা তুলে ধরেছেন। আরও একবার লোকাল বেসে চেপে সেই স্মৃতি উপভোগ করলেন ক্রিকেট ঈশ্বর।