সংক্ষিপ্ত

আইএসএলে (ISL) নতুন বছরেও জয় অধরা থেকে গেল এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal) । বেঙ্গালুরু এফসির (Bengaluru FC) বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র হল ম্যাচ। ফের এগিয়ে গিয়েও ১ পয়েন্ট নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হল লাল-হলুদ ব্রিগেডকে।

ফের এগিয়ে গিয়েও নিজেদের ভুলে ৩ পয়েন্ট হাতছাড়া করল এসসি ইস্টবেঙ্গল  (SC East Bengal)। নতুন বছরের প্রথম ম্য়াচেও ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। ফুটবল দেবতাও যেন কিছুতেই সাথ দিচ্ছে নান ইস্টবেঙ্গলের। কারণ এগিয়ে গিয়েও আত্মঘাতী গোলে বেঙ্গালুরু এফসির  (Bengaluru FC) বিরুদ্ধে ২ পয়েন্ট খোয়াল গঙ্গাপারের ক্লাব। এর আগে ৮ ম্য়াচে দলকে জয় এনে দিতে না পারার জন্য চাকরি খুইয়েছেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের কোচ দিয়াজ। তার পরিবর্তে নতুন কোচ হিসেবে আনা হয়েছে মারিও রিভরাকে। কিন্তু কোভিড নিয়ম মেনে তিনি বর্তমানে  নিভৃতবাসে রয়েছেন। সেই জায়গা মঙ্গলবারের বেঙ্গালুরু ম্য়াচ সহ বেশ কয়েকটি ম্য়াচে দলের অন্তবর্তী কালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন রেনেডি সিং। প্রাক্তন জাতীয় ফুটবালর চেয়েছিলেন নতুন বছরে তার হাত ধরেই প্রথম জয়ের মুখ দেখুক লাল-হলুদ শিবির। কিন্তু তাকেও শেষ পর্যন্ত হতাশা আর এক পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে হল।

এদিন ম্য়াচের প্রথম থেকেই একটু সামলে খেলতে দেখা যায় এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। মূলত রক্ষণ সামলে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করে রেনেডি সিংয়ের ছেলেরা। অপরদিকে বল পজিশন  ধরে রেখে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণে ফাঁক বার করার  চেষ্টা করতে থাকে পেজ্জাউলির ছেলেরা।  কিন্তু পাল্টা সুযোহ কাজিয়ে লাগিয়ে যায় বঙ্গ ক্লাব।ম্য়াচের ২৮ মিনিটে গোলের মুখ খুলে ফেলে এসসি ইস্টবেঙ্গল। সেট পিস থেকেই গোল আসে লাল হলুদের। আঙ্গুসানার নিখুঁত ফ্রি-কিক থেকে লো হেডারে প্রাক্তন দল বেঙ্গালুরুর জালে বল জড়িয়ে দিলেন হাওকিপ। প্রাক্তন ক্লাবের বিরুদ্ধে গোল করে হাওকিপের আনন্দও ছিল চোখের পড়ার মত। এরপর প্রথমার্ধে বেঙ্গালুরু এফসি কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও গোলে মুখ খুলতে সমর্থ হয়নি। যার ফলে ১ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় রেনেডি সিংয়ের দল। 

দ্বিতীয়ার্ধে ম্য়াচে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে বেঙ্গালুরু এফসি। বল পজিশন ইস্টবেঙ্গলের থেকে অনেক বেশি হলেও কাজের কাজটা করে উঠতে পারছিলেন না সুনীল ছেত্রী, উদান্তা সিংরা। কিন্তু ম্যাচের ৫৫ মিনিটে সেই সেট পিস থেকেই গোল হজম করতে হয়ে অরিন্দম ভট্টাচার্যকে। বেঙ্গালুরুর সেটপিস ক্লিয়ার করতে গিয়ে সৌরভ দাসের মাথায় লেগে অরিন্দমকে পরাস্ত করে বল জালে জড়িয়ে যায়। ম্যাচে ফের সমতায় ফিরলেও দলকে জয় এনে দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন হাওকিপ। ম্য়াচের ৮০ মিনিটে হাওকিপের সামনে বেঙ্গালুরুর গোলকিপার ছাড়া আর কেউই ছিল না। তবে প্রথম টাচেই গোল করতে গিয়ে নিজের শট সম্পূর্ণরূপে মিস করেন হাওকিপ। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলেই শেষ হয় খেলা। নতুন  বছরের প্রথম  ম্য়াচেও প্রিয় দল জয় না পাওয়ায় হতাশা আরও বাড়ল লাল-হলুদ সমর্থকদের।