সংক্ষিপ্ত
স্কুল ক্রিকেটের দিন থেকে তাঁরা দারুণ বন্ধু। ক্রিকেট থেকে অবসরের পরও তাতে ফাটল ধরেনি। এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একে অপরের পিছনে লাগলেন সচিন ও সৌরভ। দাদার একটি ট্রেনিং-এর ছবি থেকে শুরু হয় এই বিষয়টি।
তিন দশকের পুরোনো বন্ধুত্ব তাঁদের। এখনও ক্রিকেট আইকন সচিন তেন্ডুলকর এবং ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা বর্তমান বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের মধ্য়ে খুনসুটি লেগেই আছে। যেমন বৃহস্পতিবারও তাঁর ট্রেনিং-এর ছবি পোস্ট করে তাঁর ছোটবাবু-র কাছ থেকে চরম রসিকতা উপহার পেলেন দাদা।
এদিন সকালে বাড়িরর লনে শারীরিক কসরত করার একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন সৌরভ। সঙ্গে লেখেন , 'শীতের সকালে একটা ভালো ফিটনেস সেশনটি খুব ফ্রেসনিং....'
এই পোস্ট থেকেই শুরু হয় ভারতীয় ক্রিকেট মহলের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই বন্ধুর খুনসুটি। সৌরভের সেই পোস্টের জবাবে, তেন্দুলকর কমেন্ট করেন, 'ওয়েলডান দাদি! কেয়া বাত হ্যায় ... '
এরপর দাদা উত্তর দেন, '...ধন্যবাদ চ্যাম্পিয়ন বলে... আমি সবসময়ই ফিটনেস নিয়ে পাগল ছিলাম.... তোমার মনে আছে আমাদের দুর্দান্ত ট্রেনিং-এর দিনগুলো?'
এর জবাবে, ছোটোবাবু বলেন, 'হ্যাঁ দাদি...তুমি ট্রেনিং কতটা উপভোগ করেছ তা তো আমরা সবাই জানি! বিশেষত 'স্কিপিং''
স্কিপিং কথাটা দুটি অর্থ হয়। এক স্কিপিং করা অর্থাৎ দড়ি নিয়ে লাফানো। আবার ইংরাজিতে স্কিপিং মানে এড়িয়ে যাওয়া। ঊর্ধকমা দিয়ে তেন্ডুলকর অবশ্যই দ্বিতীয় অর্থটাই প্রকাশ করেছেন। সচিনের এই উত্তরের পর দাদা আর কিছু বলতে পারেননি।
একদিনের ক্রিকেটের ইতিহাসে সচিন-সৌরভ'কে সর্বকালের অন্যতম সেরা ওপেনিং জুটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। দু'জনে ওয়ানডেতে ১৩৬ ইনিংসে একসঙ্গে ৪৯.৩২ গড়ে ৬,৬০৯ রান করেছেন। দুই ফরম্যাটেই এখনও সর্বোচ্চ রানাধিকারী সচিন। আর দাদার রয়েছে ওয়ানডেতে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। একইসঙ্গে ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনি সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক হিসেবে পরিচিত। এই দুই মহান ক্রিকেটার একেবারে স্কুল ক্রিকেটের দিন থেকেই দারুন বন্ধু।