সংক্ষিপ্ত
আবুধাবিতে টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান তুলল ইংল্যান্ড। মাঝের ওভারে ডেভিড মালান এবং মইন আলি ৪১ বলে ৭৩ রান জুড়লেন।
বুধবার আবুধাবিতে টি২০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে শুরুতে কিউই পেসাররা পিচ থেকে কিছুটা সুইং আদায় করে নিতে পেরেছিলেন। যার জেরে ঠান্ডা ছিল বিস্ফোরক ইংরেজ ওপেনারদের ব্যাট। একসময় অবস্থা এমন হয়েছিল, যে ১৫০ উঠবে কিনা প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু ডেভিড মালান এবং মইন আলির ৪১ বলে ৭৩ রানের জুটির জোরে, শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রান তুলল ইংল্যান্ড। কিউই বধে এই রানটা কি যথেষ্ট হবে, সেটাই এখন দেখার।
টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্টের প্রথম ২ ওভারে ১২ রানের বেশি তুলতে পারেননি বাটলার এবং বেয়ারস্টো। তৃতীয় ওভারে আসে মাত্র ১ রান। এরপর চতুর্থ ওভারে বোল্টের বলে দুটি বাউন্ডারি মেরে ৪ ওভার পরে স্কোর দাঁড়িয়েছিল ২৯/০। তবে এরপর অ্যাডাম মিলনে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই বেয়ারস্টোকে (১৩) ফেরান। তবে এই ক্ষেত্রে মিলনের বলের থেকেও কেন উইলিয়ামসনের ক্যাচের কৃতিত্ব বেশি ছিল।
পাওয়ার প্লের পর এরপর ইংল্যান্ড কে স্পিনের জালে ফেলেছিলেন সোধি এবং স্যান্টনার। কেউই সহজে রান দিচ্ছিলেন না। ফলে রিভার্স সুইপ মারতে যান বাটলার। সোধির বলের লাইন মিস করে বোল্ড হন। বাটলার ২৯ (২৪) রিভিউ নিয়েছিলেন তবে কার্যকর হননি। কে চারটি পেতে টানতে বাধ্য করে। এই দুই ওভারে মাত্র ১৩। ইংল্য়ান্জের রান ছিল ৮.১ ওভারে ৫৩/১।
এরপরই খেলা শুরু করেছিল ডেভিড মালান এবং মইন আলির বাঁ-হাতি জুটি। জিমি নিশামের বলে ডেভন কনওয়ে শুরুতেই মালানের একটি সহজ ক্যাচ ফেলেছেন। সেই সময় মাত্র ১০ রানে ছিলেন মালান। ১০ ওভারের পর ইংলিশরা ছিল ৬৭/২ স্কোরে। এরপর গ্লেন ফিলিপস এবং সোধির বল থেকে মালান রান তুলতে শুরু করেছিলেন। যোগ্য সঙ্গত দেন মইন আলি। ১৪ ওভারের পর ইংল্যান্ড ছিল ১০০/২ স্কোরে।
এরপর ১৬তম ওভারে এই বিপজ্জনক জুটিকে শেষ করেন সাউদি। মালান একটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন, কিন্তু পরের বলেই কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। ৩০ বলে ৪২ রান করেন তিনি।
মালান আউট হলেও, মইনকে থামানো যায়নি। সোধির বলে বিশাল ছক্কা মারেন। এরপর পরের ওভারের শুরুতে মিলনেকেও ছক্কা মারেন। লিভিংস্টোনের ওবারের শেষ বলেও বিশাল ছক্কা মারেন মইন। মইন আলি সেষ পর্যন্ত ৩৭ বলে ৫১ করে অপরাজিত থাকেন। শেষ দুই ওভারের আসে ২০ রান, শেষ ৫ ওভারে ৫৬। ইংল্যান্ড পৌঁছায় ১৬৬ রানে। লিভিংস্টোন ১০ বলে ১৭ রানের থেকেও একটি দরকারী ক্যামিও খেলেন।