সংক্ষিপ্ত
রায়গঞ্জ থানার ১৪ নম্বর কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের খাদিমপুর গ্রাম নতুন করে মেতে উঠেছে শারদীয়ার আনন্দে। তবে এখানে দেবী দুর্গাকে "বালাইচণ্ডী" রূপে পুজো করা হয়ে থাকে।
দুর্গাপুজো শেষ। আকাশে বাতাসে এখন শুধু বিষাদের সুর। মন খারাপের আবহ চারিপাশে। গোটা রাজ্যে যখন এই ছবি ধরা পড়েছে ঠিক তখনই অন্য ছবি ধরা পড়ল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের খাদিমপুরে। সেখানে আবার শুরু হল পুজো। যার জেরে আনন্দের বন্যা বইছে গোটা গ্রামে। দশমীতেই এখানে দুর্গাপুজো শুরু হয়। পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন খাদিমপুর গ্রামের আট থেকে আশি সকলেই। পুজোর চারদিন সেখানে মেলাও বসে।
আরও পড়ুন- Durga Puja: দশমীতেও হামলা বাংলাদেশের মন্দিরে, বেধড়ক মার ভক্তদেরও
রায়গঞ্জ থানার ১৪ নম্বর কমলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের খাদিমপুর গ্রাম নতুন করে মেতে উঠেছে শারদীয়ার আনন্দে। তবে এখানে দেবী দুর্গাকে "বালাইচণ্ডী" রূপে পুজো করা হয়ে থাকে। এখানে দেবী দশভুজার বদলে চতুর্ভুজা। চার হাতেই দেবীর অস্ত্র থাকলেও এখানে দেবীর পদতলে নেই মহিষাসুর। তবে অন্যান্য দুর্গামণ্ডপের মতো এখানেও দেবীর পাশে দেখা যায় কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী সবাইকেই।
খাদিমপুরের বাসিন্দা তথা পুজো কমিটির কর্মকর্তা সত্যেন্দ্র নাথ বর্মন বলেন, "কত বছরের পুরোনো এই পুজো তা কেউই বলতে পারে না। আনুমানিক পাঁচশো বছর ধরে এই একই নিয়মে দশমীর দিনেই এখানে বালাইচণ্ডী রূপে দেবী দুর্গাকে পুজো করা হয়ে থাকে। দশমীর রাতে শুরু হওয়া এই পুজো চলবে তিনদিন। পুজোর পাশাপাশি এই এলাকায় মেলার আয়োজন করা হয়।"
আর এই বালাইচণ্ডী রূপী দুর্গাপুজোই খাদিমপুর গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে আসল পুজো। এই পুজোকে কেন্দ্র করে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুরোনো রীতি মেনে আজও খাদিমপুরের এই দুর্গাপুজোয় চলে আসছে বলি প্রথা। এখানকার বালাইচণ্ডী রূপী দেবী দুর্গাকে খুবই জাগ্রত বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। আর সেই কারণে বহু দুর থেকে দর্শনার্থীরা আসেন খাদিমপুরে। শারদীয়া উৎসব যেখানে শেষ হয়ে বিষাদের সুর বেজে উঠেছে আর তখনই রায়গঞ্জ শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে খাদিমপুর গ্রামে আগমনীর আনন্দে মেতে উঠেছেন স্থানীয়রা।