সংক্ষিপ্ত
প্রতিবছরই কলকাতায় সব মিলিয়ে প্রায় চার হাজার প্রতিমা নিরজ্ঞন হয়। গঙ্গার ঘাটগুলির মধ্যে সব থেকে বেশি বিসর্জন হয় জাজেস ঘাট, বাজে কদমতলা ঘাট, নিমতলা ঘাট।
নবমীর রাত মানেই পুজো শেষে বিষাদের সুর মর্তলোকে। তবে একমদই উল্টো ছবি কৈলাসে। সেখানে রীতিমত খুশিরা হাওয়া। দশমীর সকালেই প্রথা মেনে দেবী দূর্গার ঘরে ফেলার খবর নিয়ে উড়ে যাবে নীলকণ্ঠ পাখি। মণ্ডপ থেকে শুরু করে বাড়ির পুজো - সব জায়গাতেই শুরু হয়ে যাবে বিদায়ের তোড়জোড়। কিন্তু তার আগেই বিজয়া দশমীর প্রস্তুতি শুরু করে গেছে গঙ্গার ঘাটগুলি। উদ্যোক্তা কলকাতা পুরসভা। নবমীর রাত দর্শনার্থীরা যখন আরও দুটো বেশি প্রতিমা দর্শনের আসায় উত্তর থেকে দক্ষণ কলকাতা বা দক্ষিণ থেকে উত্তরে ছুটছেন তখন রীতিমত ব্যস্ততা গঙ্গার ঘাটগুলিতে।
প্রতিবছরই কলকাতায় সব মিলিয়ে প্রায় চার হাজার প্রতিমা নিরজ্ঞন হয়। গঙ্গার ঘাটগুলির মধ্যে সব থেকে বেশি বিসর্জন হয় জাজেস ঘাট, বাজে কদমতলা ঘাট, নিমতলা ঘাট। কলকাতা পুরসভা সূত্রের খবর তিনটে ঘাটে চারটে করে ক্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাজে কদমতলা ঘাটে বার্জের ওপর ভাসমান ক্রেন থাকবে। আর পাড়ে থাকবে একটি। বাকি দুটি ক্রেন থাকবে নিমতলা আর বাজে কদমতলা ঘাটে। প্রতিমা জলে পড়লেই ক্রেনদিয়ে তোলা হবে কাঠামো।
Weather Update: বৃষ্টি থেকে রেহাই নেই, দশমীতেও বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের
IPL দলে সুযোগে করে দেওয়ার নাম করে টাকা হতানোর অভিযোগ, গ্রেফতার বাংলার তরুণ ক্রিকেটার
গত বছরের মতই এবারও করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনেই প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে। একই সঙ্গে গঙ্গার দূষণ এড়াতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের গাইডলাইন মেনেই ফুল, মালা আর পুজোর অন্যান্য সামগ্রী গঙ্গার তীরে একটি গায়গায় ফেলতে হবে। কলকাতা পুরসভা অতিরিক্ত কর্মীও মোতায়েন করবে। কলকাতা পুরসভার প্রতিমা নিরঞ্জনে দুষণ নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ প্রতিবারই ওঠে। তাই কলকাতা পুরসভা এবার হেস্টিংস এলাকার গঙ্গার একটি ঘাটে হোসপাইপ দিয়ে প্রতিমা গলিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। গোটা বিষয়টি পরীক্ষা করে দেখা হবে এবার। দায়িত্বে রয়েছেন, ডিজি মৈনাক মুখোপাধ্যায়। তবে এই বিষয়টি নিয়ে এখনও তেমনভাবে কিছুই জানাতে চায়নি কলকাতা পুরসভা। কলকাতা পুরসভা আসা করছে শুক্রবারই বাড়ি ও বড় ক্লাবের সমস্ত প্রতিমা নিরঞ্জন হয়ে যাবে।