সংক্ষিপ্ত
- কলকাতায় মোট ৯০ ওয়ার্ডে এগিয়ে তৃণমূল
- ৫১ ওয়ার্ডে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি
রাজ্যের ১৫৮টি বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। কলকাতার দু'টি লোকসভা এবং যাদবপুর কেন্দ্র নিজেদের দখলে রাখতে পারলেও আগামী বছর কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের আগে শাসক দলের চিন্তা অনেকটাই বাড়িয়ে রাখল গেরুয়া শিবির। একটি ইংরেজি দৈনিকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫১টিতেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। সবমিলিয়ে ৫৪টি ওয়ার্ডে পিছিয়ে রয়েছে শাসক দল।
উত্তর থেকে দক্ষিণ, কলকাতার সর্বত্রই শাসক দলের ভোটে থাবা বসাতে শুরু করেছে বিজেপি। দক্ষিণ কলকাতার মোট ২৬টি ওয়ার্ডে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। উত্তর কলকাতার ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা ২৫। খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ওয়ার্ডের বাসিন্দা, দক্ষিণ কলকাতার সেই ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডেও ৪৯৬ ভোটে পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল। কলকাতা পুরসভার বর্তমান পুরবোর্ডে থাকা পাঁচজন মেয়র পারিষদের ওয়ার্ডেও পিছিয়ে পড়েছে শাসক দল।
যদিও লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখেও তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে মোট ৯০টি ওয়ার্ডে। ফলে চিন্তা বাড়লেও শাসক দলের জন্য কিছুটা স্বস্তি থাকছেই। কারণ ১৪৪ ওয়ার্ড বিশিষ্ট কলকাতা পুরসভায় এখনও সংখ্যাগরিষ্ঠ ওয়ার্ডেই এগিয়ে রয়েছে শাসক দল। কিন্তু একবছর পরের পুর নির্বাচনের আগে শাসক দলের জন্য যে যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ থাকছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
যেমন দক্ষিণ কলকাতায় দলের শীর্ষ নেতা সুব্রত বক্সির ভাই এবং বরো চেয়ারম্যান সন্দীপ বক্সি নিজের ওয়ার্ডে পিছিয়ে পড়েছেন। আবার মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের ভাইয়ের স্ত্রী কাউন্সিলর জুঁই বিশ্বাসও নিজের ওয়ার্ডে পিছিয়ে রয়েছেন। আবার উত্তর কলকাতার জোড়াসাঁকো কেন্দ্রের বিধায়ক এবং বরো চেয়ারপার্সন স্মিতা বক্সি নিজের ওয়ার্ড থেকে পিছিয়ে পড়েছেন।
শাসক দলের পক্ষে একমাত্র ইতিবাচক ফল হয়েছে যাদবপুর বিধানসভা কেন্দ্রে। সেখানে এগারোটির মধ্যে সাতটি ওয়ার্ডে এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। সিপিএম এগিয়ে রয়েছে তিনটি ওয়ার্ডে। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে এগারোটির মধ্যে দশটি ওয়ার্ডেই পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। তৃণমূল নেতাদের অবশ্য দাবি, পুরসভা নির্বাচন হবে স্থানীয় ইস্যুর ভিত্তিতে। ফলে একবছর পরে কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে এতটা খারাপ ফলে হবে না তাঁদের।