সংক্ষিপ্ত
- রবিবার রাতে দু'টি বাইকে চড়ে আসে দুষ্কৃতীরা
- রাস্তার উপরে গুলি চালানো হয় বিজেপি কর্মীর উপর
ভোটের ফল বেরনোর পরে চারদিন কেটে গেল। কিন্তু শান্ত হচ্ছে না ভাটপাড়া। এবারে ভাটাপাড়া পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডে এক বিজেপি কর্মীকে গুলি করে এবং বোমা মেরে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম চন্দন সাউ(৩৫)।
রবিবার রাত দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে ভাটপাড়ার শতদল মাঠ লাগোয় কালীতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে। অভিযোগ, ভাটপাড়া পুরসভারই ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের ৬৪ পল্লি এলাকায় বাড়ি ফেরার সময় চন্দনের উপরে হামলা চালায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। জানা গিয়েছে, দু'টি মোটরসাইকেলে করে আসা চার দুষ্কৃতী প্রথমে চন্দনের পথ আটকায়। এর পরে দু' এক মিনিট চন্দনের সঙ্গে বচসার পরেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। এর পরে গুলিবিদ্ধ চন্দনকে লক্ষ্য করে বোমাও মারা হয়। রাস্তার উপরে লুটিয়ে পড়েন চন্দন। তিনি এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দারাই চন্দনকে উদ্ধার করে ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিজেপি-র পক্ষ থেকে এই খুনের ঘটনার নেপথ্যে তৃণমূল রয়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় যায় বিশাল পুলিশবাহিনী। যদিও এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবে যুক্ত নয় বলেই শাসক দলের স্থানীয় নেতাদের দাবি।
গত কয়েকদিন টানা অশান্তির পরে রবিবার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছিল ভাটপাড়ার পরিস্থিতি। খুলেছিল দোকানপাট, এলাকায় শান্তি ফেরাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বৈঠকও করছিল পুলিশ। তার মধ্যেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ফের ভাটপাড়ায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।
এই ঘটনায় খুনে জড়িত সন্দেহে এক দম্পতিকে আটক করেছে জগদ্দল থানার পুলিশ। নিহত চন্দনের মোবাইলের কল লিস্ট পরীক্ষা করে ওই দম্পতিকে আটক করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, তাদের সঙ্গেই শেষ বার ফোনে কথা হয়েছিল চন্দনের। পুলিশের সন্দেহ, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই খুন হয়েছেন চন্দন।