সংক্ষিপ্ত
এই প্রধানমন্ত্রীর এক্সপেয়ারি ডেট ফুরিয়ে গেছে। সভা থেকে মোদীকে তুলোধনা মমতার।
ফণী চলে গিয়েছে। ফণা তুললেন মমতা। সরাসরি ছোবল মারলেন নরেন্দ্র মোদীকে। পঞ্চম দফা নির্বাচনের দিনে গোপাীবল্লভপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা থেকে সরাসরি তোপ দাগা হল সদর দফতরে।
এদিন প্রথম থেকেই পুরনো ঝাঁঝেই ছিলেন মমতা। হঠাৎ করে প্রচারের মাঝে রাজ্য কেন্দ্র মিটিং তলবকে নাকচ করা হয়ে গিয়েছে ততক্ষণে। কেন মিটিং করছেন না তার ব্যখ্যা দিতে দিতেই পারদ চড়ছিল মমতার। মঞ্চে দাড়িয়েই সপাটে বলেন, এই প্রধানমন্ত্রীর এক্সপেয়ারি ডেট ফুরিয়ে গেছে।
এরপরে এক ধাপ এগিয়ে মমতা বলেন, "উনি মিথ্যেবাদী, নিজের বউকেই দেখেন না। দেশবাসীকে দেখবেন কী করে।" চলতে থাকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে কথার তোড়। বলেন, "মোদী ভোটের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় স্ত্রী সংক্রান্ত যাবতীয় প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন জানি না। স্ত্রীর বয়েস, পেশা বাসস্থান কিছুই জানেন না। ওঁর স্ত্রীর নামই জানি না।"
ভোটের সঙ্গে শিষ্টতার সম্পর্ক গিয়েছে অনেক দিন। প্রত্যেকেই ভোটের সময়ে বেলাগাম হয়ে নতুন নতুন কীর্তি স্থাপন করছেন। সেই দলে তিনিও আছেন বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। পুরনো আত্মবিশ্বাসকেই হাতিয়ার করে দলীয় কর্মীদের অক্সিজেন আর বিজেপিকে দাওয়াই দিলেন মমতা। তাঁর স্লোগান ঝড় তুলল, "দলীয় দিল্লি সামলা তারপর দেখবি বাংলা।"
এদিন মমতা বিরোধী প্রচারে ফণীকেই অস্ত্র করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন ফণী নিয়ে মিটিং করতে চাইলেও জবাব মেলেনি। মমতাও সপাটে জানিয়ে দেন নির্বাচনী প্রচার না এলে তিনি হয়ত সাড়া দিতেন, কিন্তু এখন সাড়া দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। নরেন্দ্র মোদীকে তিনি প্রধানমন্ত্রী মানেনই না।