সংক্ষিপ্ত

  • বিজেপি ঠিক করেছে নির্বাচনের আদর্শ আচরণ বিধি শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বাংলায়।
  • এই মর্মেই মমতা নির্বাচন কমিশনের দিকে প্রশ্ন করেছেন, বাংলায় কি তবে জরুরি অবস্থা চালু হয়েছে? 

ফের  নির্বাচন কমিশনের দিকে প্রশ্ন তুললেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাত দফার নির্বাচনে এবার প্রতিটি দফাতেই বাংলায় অশান্তি তৈরি হয়েছে। আর এই জন্যই নাকি বিজেপি ঠিক করেছে নির্বাচনের আদর্শ আচরণ বিধি শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বাংলায়। এই মর্মেই মমতা নির্বাচন কমিশনের দিকে প্রশ্ন করেছেন, বাংলায় কি তবে জরুরি অবস্থা চালু হয়েছে? 

এই বিষয় তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও ব্রায়ান নির্বাচনের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছেন বলে জানা গিয়েছে। একদিকে বিজেপির নেতাদের , বাংলায় আরও  এক সপ্তাহ কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। এই প্রসঙ্গেই তৃণমূল বলছে, তা হলে কি বিজেপি বাংলায় জরুরি অবস্থার ঘোষণা করল? অন্যান্য রাজ্যগুলিতে এরকম নিয়ম  নয়। তা হলে এ রাজ্যে কেন এমন নিয়ম। তৃণমূলের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী পশ্চিমবঙ্গের মানুষের উপরে অত্যাচার চালাচ্ছে। 

ভোট চলাকালীনও তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী নাকি ভোটারদের বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে ভোট শেষ হওয়ার পরেও বাংলার বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি চলছে। এই অবস্থার ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছে। 

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি বলেছেন, বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসা চলছে। যতক্ষণ না ভোট গণনা  সম্পন্ন হচ্ছে, ততক্ষণ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাজ্য়ে প্রয়োজন। সাধারণ  মানুষের নিরাপত্তার জন্যই কমিশনের কাছে এই আবেদন করা হয়েছে। 

এর পরেই তৃণমূল নেত্রী কমিশনকে প্রশ্ন করেছেন, বাংলায় কি তবে জরুরি অবস্থা জারি হল! এখন দেখার কার আবেদনে সাড়া দেয় নির্বাচন কমিশন। 

প্রসঙ্গত, এবারের লোকসভা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে  বিজেপি বিরোধী দলগুলি প্রশ্ন তুলেছেন। এমনকী বাংলায় ভোটের প্রচারের সময় ছাঁটার বিষয়েও কমিশন পক্ষপাতিত্ব করেছে বলে অভিযোগ রাজনৈতিক দলগুলির কারণ বাংলায় মোদীর নির্বাচনী প্রচার শেষ হতেই সময়সীমায় ইতি টানা হয়েছে।