শেষ মুহূর্তে ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মায়াবতী। তবু ২০১৯ লোকসভা ভোটে ক্রাউডপুলার তিনিই।
রাজ্যে জারি ৩২৪ ধারা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এমন বেনজির সমস্যার সম্মুখীন কখনও হয়নি দেশ। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙাকে কেন্দ্র করে যে অশান্তি। তার জেরেই রাতারাতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। সরানো হয়েছে স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্যকে। অপসারিত হয়েছেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিরেক্টর রাজীব কুমারও। রাজনৈতিক দলগুলিকে বলা হয়েছে প্রচারের মেয়াদ কমাতে। শুক্রবার বিকেল পাঁচটা থেকে সময়সীমা কমিয়ে এনে বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটা করে দেওয়া হয়েছে। এই আবহেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার পাশে পেয়ে গেলেন মায়াবতীকে। মায়াবতী সরাসরি প্রশ্ন তুলেন কমিশনের বিরুদ্ধে।
এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মায়াবতী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরিকল্পিত ভাবে 'টার্গেট' করছে মোদী-শাহ জুটি। যা ঘটছে তা ভয়াবহ অন্যায়। দেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এই অন্যায় মেনে নেওয়া যায় না।
এরপরেই মায়াবতী সরাসরি তোপ দাগেন কমিশনের বিরুদ্ধে। বলেন, "কমিশনের যদি নির্বাচনী প্রচার নিয়ে মাথাব্যথা থাকে, তাহলে তো তার বৃহস্পতিবার সকালেই প্রচার বন্ধ করে দেওয়া উচিত। তারা কেন রাত দশটা পর্যন্ত সময় নিল? তারা সময় নিল কারণ এই দিন বাংলায় মোদীর দু'টো সভা রয়েছে। চাপের মুখে কমিশনের এই নতি স্বীকার মেনে নেওয়া যায় না।"
প্রসঙ্গত শেষ মুহূর্তে ভোট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মায়াবতী। তবু ২০১৯ লোকসভা ভোটে ক্রাউডপুলার তিনিই। গত ৮ মে আম্বেদকরনগর থেকে সভা করে জানিয়ে দেন, তিনিই নাকি দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। কাট আউটেই লেখা ছিল সেই ফিরিস্তি। তারপরেই শুরু হয় জল্পনা, দেশ কি পেতে পারে প্রথম দলিত মহিলা প্রধানমন্ত্রী। এদিনের ঘটনায় পরিষ্কার মহাগঠবন্ধনের প্রধান মুখ মায়াবতী নিজের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বন্ধুত্ব।
