সংক্ষিপ্ত

  • মোদীর বিজয়রথের ভাগ্য নির্ধারিত হতেই ২৩ মে সন্ধেবেলা সভা করেছিল ভারতীয় জনতা দল।
  • গোটা দেশকে চমকে দিয়ে সেই জনসভায় বিজেপি সুপ্রিমো অমিত শাহ পাঁচবার বাংলার নাম নেন।

মোদীর বিজয়রথের ভাগ্য নির্ধারিত হতেই ২৩ মে সন্ধেবেলা সভা করেছিল ভারতীয় জনতা দল। গোটা দেশকে চমকে দিয়ে সেই জনসভায় বিজেপি সুপ্রিমো অমিত শাহ পাঁচবার বাংলার নাম নেন। সহজেই বোঝা যায়, বিজেপি পাখির চোখ করেছিল বাংলাকেই। সেই লক্ষ্যে সফলও হয়েছে গেরুয়া শিবির। বিরোধীদের যাবতীয় চিন্তাভাবনাকে ধুয়ে মুছে দিয়ে বাংলা থেকে সংসদে যাচ্ছেন ১৮ জন বিজেপি প্রতিনিধি। 

জয়ের পরবর্তী কর্মসূচি স্থির হয়ে গিয়েছে। নতুন যাত্রা শুরু করার আগে মা হীরাবেন, লালকৃষ্ণ আদবানীর আশীর্বাদ নিয়েছেন নমো।

৩০ মে শপথগ্রহণ গোটা মন্ত্রিসভার।  তার আগেও মোদীর মুখেও বাংলারই নাম।  আমেদাবাদের সভা মঞ্চ থেকে রবিবার যখন 'ভারত মাতা কি জয়' স্লোগান উঠছে নরেন্দ্র মোদী তখন জনতাকে বললেন, 'যেভাবে সভাপতি বলছেন সেভাবে বলুন যাতে বাংলায় আওয়াজ পৌঁছে যায়।'

এখানেই শেষ নয়। ভোটের আগে ভাইরাল হয়েছিল রায়গঞ্জের  জনৈক রিনা সাহার বক্তব্য। ভাঙা গলায় রিনা সাহা বলেছিলেন, '২২দিন গুজরাট ঘুরতে আয়াহে গুজরাট মে বিকাশে মানে স্বর্গ হুয়াহে।' 

তাঁর কথা আবার তুলে আনলেন নরেন্দ্র মোদী। সুরাট অগ্নিকাণ্ডে মন বিষন্ন, তবু বাংলার কথা বলতে ছাড়লেন না দেশের সেরা সংগঠক মোদী। মোদী বললেন, 'সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলার এক বোনকে দেখেছি। তিনি মোদী-মোদী করছিলেন।  গুজরাট কে স্বর্গ বলেছেন।' 

লোকসভা ভোটে বাংলায় ১৮ টি আসন পেয়েছে বিজেপি। কিন্তু লোকসভা ভোটের এই আসন বিজেপির শেষ লক্ষ্য নয়, বরং বলা যায় বাংলায় তাদের প্রথম পদক্ষেপ। ২০২১- এ তৃণমূলকে ধুয়েমুছে সাফ করে ফেলতে হাত ধুয়ে নেমে পড়েছে গেরুয়াবাহিনী।তাই উদয়অস্ত রাম নামের মতো বাংলার নাম করতে ভুলছেন না দেশের ভাবী প্রধানমন্ত্রী। রশিটা শক্ত হাতে প্রথম থেকেই ধরতে চাইছেন নমো।