সংক্ষিপ্ত
- এবার পুরুলিয়া কেন্দ্রটি ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি
- পরাজিত হয়েছেন বিদায়ী সাংসদ তৃণমূলের মৃগাঙ্ক মাহাতো
- তাঁর বিরুদ্ধেই এবার পোস্টার পড়ল পুরুলিয়া শহরে
'অহংকারের পতন হল', এই কথা লিখে তৃণমূল প্রার্থীর মৃগাঙ্ক মাহাতোর নামে পোস্টার পড়ল পুরুলিয়া শহরে। বিদায়ী সাংসদের হারের পরে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে এমন পোস্টারে স্বভাবতই অস্বস্তি ছড়িয়েছে শাসক দলের অন্দরে। বিরোধীরা এমন পোস্টার লাগিয়েছে, নাকি দলের মধ্যে থেকেই কেউ এমন কাজ করেছে, তা নিয়েই এখন জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। শাসক দলের পক্ষ থেকে এই কাজের জন্য বিজেপি-কে দায়ী করা হলেও বিজেপি-র দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।
২০১৪ সালে পুরলিয়া থেকে দেড় লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন মৃগাঙ্ক মাহাতো। তাঁকেই এবারও প্রার্থী করেছিল দল। কিন্তু পেশায় চক্ষু চিকিৎসক মৃগাঙ্কবাবু এবার বিজেপি প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতোর কাছে দু' লক্ষেরও বেশি ভোটে পরাজিত হয়েছেন। পুরুলিয়ায় যে বিজেপি-র দাপট বাড়ছে, পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলেই তা স্পষ্ট হয় গিয়েছিল। লোকসভা নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত পুরুলিয়া হাতছাড়া হয় শাসক দলের।
পোস্টার মারার ঘটনাটি অবশ্য রবিবার সকালেই সবার চোখে পড়ে। জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া শহরের সাহেববাঁধ রোডের উপরে একটি দেওয়ালের গায়ে কেউ বা কারা এই পোস্টার মেরে যায়। রীতিমতো তৃণমূল প্রার্থী মৃগাঙ্ক মাহাতোর ছবি দিয়ে তার নীচে বড় করে লেখা ছিল 'অহংকারের পতন হলো।' ব্যস্ত এলাকায় হওয়ায় অনেকেরই চোখে পড়ে ওই পোস্টার। যা নিয়ে শুরু হয় জোর আলোচনা।
এই ঘটনায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে মৃগাঙ্ক মাহাতো নিজে এবং শাসক দল তৃণমূল। দলের পক্ষ থেকে ঘটনার জন্য বিজেপি-কে দায়ী করা হয়েছে। বিজেপি জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীর অবশ্য দাবি, পোস্টারে যা লেখা হয়েছে তা ঠিকই লেখা হয়েছে। সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ থেকেই এমন পোস্টার পড়েছে বলে দাবি ওই বিজেপি নেতার।