সংক্ষিপ্ত
- রোতে চলেছে প্রায় ২৪ ঘণ্টা।
- রাজপথে নেমেছেন রাজনৈতিক অরাজনৈতিক সমস্ত পক্ষই।
- বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে বাঙালি।
- শুধু শোনা যায়নি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া।
পেরোতো চলছে লজ্জার ২৪ ঘণ্টা। গত মঙ্গলবার বিকেলে অমিত শাহ-র রোড শো এর পরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর কলকাতা।কলেজ স্ট্রিটে রাস্তার দুই পাশে ভাঙচুর শুরু করে। মোটরবাইক, সাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। একটি দল বিদ্য়াসাগর কলেজেও ঢুকে পরে তাণ্ডব শুরু করে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলেজ স্ট্রিটে বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের এই তাণ্ডবের কথা মুখ্যমন্ত্রীর কানে পৌঁছয় একটু দেরি করে। কেননা তিনি ছিলেন টালিগঞ্জে মিমি চক্রবর্তীর সমর্থনে একটি সভায়। কিন্তু ঘটনার ফিরিস্তি জানার পরে দিশেহারা হয়ে বেনজির ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি বিজেপিকে। সভাস্থল থেকে হুঙ্কার দেন ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেবেন।
তারপর পেরোতে চলেছে প্রায় ২৪ ঘণ্টা। রাজপথে নেমেছেন রাজনৈতিক অরাজনৈতিক সমস্ত পক্ষই। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে বাঙালি। শুধু শোনা যায়নি প্রধানমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া।
অবশেষে আগল ভাঙল। এদিন বসিরহাটের জনসভা থেকে নরেন্দ্র মোদী গোটা ঘটনার জন্যে দায়ী করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বললেন প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে এই ঘটনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। মোদীর আরও দাবি, বিজেপি সুপ্রিমো অমিত শাহকে ভয় দেখাতে এই কাজ করেছে মমতার দল।
নরেন্দ্র মোদীর দাবি, "হিংসে উন্মত্ততায় গণতন্ত্রের গলা কাটতে উদ্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জবাব দেবে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা।"
প্রসঙ্গত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এদিন বাম ছাত্র-যুবরা মিছিল শুরু করেছে এই হিংসার বিরুদ্ধে।