সংক্ষিপ্ত
২০১৮ তে ম্যাজিক দেখিয়েছিল এই আসনগুলিই। এবার মোদীর ভরসা পূবে তাকাও নীতি। শেষরক্ষা হবে তো? কী বলছে সমীক্ষা?
সোমবার। চতুর্থ দফার ভোট। খুব সহজে বললে সবচেয়ে বড় অগ্নিপরীক্ষার সম্মুখীন হচ্ছে বিজেপি। কারণ রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশের মতো স্পর্শকাতর আসনগুলিতে ভোটগ্রহণ এদিন। ভোট বিশ্লেষকদের মতে, এই দিনের ভোটই ঠিক করে দেবে গেরুয়া রথের চাকা আরও গড়াবে নাকি থমকে যাবে। চিন্তার ভাঁজ বিজেপি শিবিরেও কেননা সকলেই বিলক্ষণ জানেন, এই আসনগুলিতেই গত বছর ডিসেম্বর মাসে শক্তিক্ষয় হয়েছে বিজেপির। ঘুরে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস। সেই গতি কংগ্রেস ধরে রাখলে বিজেপির বিপদ বৈকি।
প্রসঙ্গত, মোট ৯টি রাজ্যে ভোট হচ্ছে এদিন। লড়াই ৭২ টি আসনের। এর মধ্যে রয়েছে বিহার (৫), জম্মু কাশ্মীর (১), ঝাড়খণ্ড (৩), মধ্যপ্রদেশ (৬), মহারাষ্ট্র( ১৭), ওড়িশা (৬), রাজস্থান (১৩), উত্তরপ্রদেশ (১৩) এবং পশ্চিমবঙ্গ (৮)। পিটিআই সূত্রের খবর রাজস্থানে প্রথম দুই ঘণ্টায় ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। মধ্যপ্রদেশে সকাল নটা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১১.৩৯ শতাংশ।
এই ৭২ টি আসনে গত লোকসভা ভোটে কেমন ফল হয়েছিল? সমীক্ষকরা দেখাচ্ছেন এর মধ্যে ৪৫ টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। শিবসেনা পেয়েছিল ৯ টি, তৃণমূল ৬ টি আসন। ৬টি আসন পেয়েছিল নবীন পট্টনায়রকের দল। কংগ্রেস ও রামবিলাস পাসোয়ানের এলদেপি পেয়েছিল ২ টি করে আসন। সমাজবাদী পার্টির ভাগ্যে জুটেছিল একটি আসন।
কিন্তু গত পাঁচ বছরে অবস্থা বদলেছে। মহারাষ্ট্রে বিজেপি-শিবসেনা জোট আগের ম্যাজিক দেখাতে পারবে না বলেই শঙ্কা প্রকাশ করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে সদ্য শেষ বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের দিকে যে পরিমাণ হাওয়া ঘুরেছে মধ্যপ্রদেশে ও রাজস্থানে তাতে বিজেপির এত তাড়াতাড়ি ঘুরে দাঁড়ানো মুশকিল।
তবে বিজেপির শক্তি বেড়েছে ওড়িশা এবং বাংলায়। বলা ভাল গোটা পূর্ব ভারতেই। বাংলার চতুর্থ দফায় ভোট হচ্ছে মোট আটটি কেন্দ্রে। এদিন পশ্চিমবঙ্গের আটটি কেন্দ্র ভোট - বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান - দুর্গাপুর, আসানসোল, বীরভূম, বোলপুরে ভোট হবে।
এদিন পশ্চিমবঙ্গের আটটি কেন্দ্র ভোট - বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রানাঘাট, বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান - দুর্গাপুর, আসানসোল, বীরভূম, বোলপুরে ভোট হচ্ছে। এর মধ্যে আসানসোল, বীরভূম, কৃষ্ণনগরের মতো সিটগুলি শাসকের ব্যাপক মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
বিজেপির কাছে চতুর্থ দফা আসলে অগ্নিপরীক্ষা। মধ্য ও পশ্চিম ভারতের ঘাটতি মিটিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অক্সিজেন পেয়ে গেলে পদ্মফুলে মসনদ গড়াও হতে পারে। তবে ভোটসমীক্ষকরা বলছেন এখুনি সব স্থির বলা যাবে না, দিল্লী বহু দূর।