সংক্ষিপ্ত
- কলাবতী রাজকন্যা থেকে গল্প অবলম্বনে তৈরি হয়েছে 'বুদ্ধু ভূতুম'
- কচিকাচারা ঠাকুমার ঝুলির গল্প দেখবে ছবির পর্দায়
- ছবির ৯০ ভাগ জুড়েই রয়েছে ভিফএক্স-এর কাজ
- ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে এই ছবি
দক্ষিণারঞ্জন মিত্র মজুমদারের লেখা গল্পই এবার হাজির বড় পর্দায়। শুক্রবারই মুক্তি পেয়েছে ছোটদের জন্য বাংলা ছবি 'বুদ্ধু ভূতুম'। কলাবতী রাজকন্যা থেকে ছবির গল্প নেওয়া হয়েছে। বিখ্যাত আর্ট ডিরেক্টর নীতীশ রায় এই ছবির পরিচালনা করলেন। তার কথায় এই ছবি তৈরির চিন্তাভাবনা অনেক বছর আগেই এসেছিল। সেই ইচ্ছেরই প্রতিফলন ঘটল শুক্রবার বড় পর্দায়।
উৎসবের আবহে নতুন প্রজন্মের জন্য অন্যতম উপহার 'বুদ্ধু ভূতুম'। কচিকাচারা ঠাকুমার ঝুলির গল্প এবার দেখবে বড় পর্দায়। ছবির ৯০ ভাগ জুড়েই রয়েছে ভিফএক্স-এর কাজ। এই ছবির পরিচালক নীতীশ রায় জানিয়েছেন, ছোটদের সঙ্গে সঙ্গে বড়রাও এই ছবি দেখে আনন্দ পাবেন। কিছুক্ষণের জন্য সকলেই পৌঁছে যেতে পারবেন রূপকথার দেশে।
তবে রূপকথার আস্ত এই শহরটি, বাস্তবে অ্যানিমেশন ও ভিএফএক্সের সাহায্যে তৈরি হয়েছে। ছবিতে অ্যানিমেশনের কাজ করেছেন অভিক নন্দী এবং রাজা ভৌমিক। ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়। এই ছবিতে কৌশিক চক্রবর্তী বিরাট নগরের রাজায় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আর তার মহামন্ত্রী বিজয় সিংহ-এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শংকর চক্রবর্তী। ভূতুমের চরিত্রে অভিনয় করেছেন মানালি। বীরবাহু সেনার চরিত্রে রয়েছেন থিয়েটার জগতের জনপ্রিয় অভিনেতা গৌতম হালদার। তিনি জানান, তাঁর করা বিভিন্ন নাটকের মধ্যে অন্যতম প্রিয় বিষয় ছিল 'ঠাকুমার ঝুলি'।
এই ছবিতে সোহাগের ভূমিকায় রয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। বিরাট গড় রাজার দ্বিতীয় রানির চরিত্রে অভিনয় করেছেন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। কনীনিকা জানান, ছোটবেলায় তিনি ঠাকুমার ঝুলির গল্প ঠাকুমার কাছে শুনেই বড় হয়েছেন। তিনি আরও জানান, বর্তমানে কঠিন বাস্তবজগতটাতে প্রবেশের আগে রূপকথার দেশটা দেখা উচিত ছোটদের। না হলে তাদের শৈশবটা নরক হয়ে উঠবে। তাই এই ছবিতে কাজ করা যেন আরও একবার ছোটবেলায় ফিরে যাওয়া।