সংক্ষিপ্ত
- সায়ন্ত ভট্টাচার্যের অবস্থাও কিছুটা এমনই ছিল
- মাত্র ৬০ দিন মরফি যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তাকে বেলগাছিয়া পশু হাসপাতালে নিয়ে যান সায়ন্ত
- মরফির তখন এতটাই খারাপ অবস্থা ছিল যে হাসপাতালে থেকে পরিচর্যা প্রয়োজন ছিল
- কিন্তু তখন তেমন ব্যবস্থা না থাকায় মরফিকে বাড়িতেই নিয়ে আসতে হয় সায়ন্তকে
যাঁরা পোষ্য ভালোবাসেন, আদরের একরত্তি মার্জার বা কুকুর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁদের যেন মাথায় বাজ পড়ে। প্রথমত অবলা জীব তো আর বলতে পারে না, তার কী হয়েছে। দ্বিতীয়ত এখনও পশু চিকিৎসালয় বলতে কলকাতার মানুষ শুধু বেলগাছিয়া পশু হাসপাতালই বোঝে।
সায়ন্ত ভট্টাচার্যের অবস্থাও কিছুটা এমনই ছিল। মাত্র ৬০ দিন মরফি যখন অসুস্থ হয়ে পড়ে তাকে বেলগাছিয়া পশু হাসপাতালে নিয়ে যান সায়ন্ত। মরফির তখন এতটাই খারাপ অবস্থা ছিল যে হাসপাতালে থেকে পরিচর্যা প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তখন তেমন ব্যবস্থা না থাকায় মরফিকে বাড়িতেই নিয়ে আসতে হয় সায়ন্তকে। এখান থেকেই পশু হাসপাতাল তৈরির ভাবনার সূত্রপাত। পশু হাসপাতালে যাতে শয্য়ার কোনও অভাব না হয়, তার জন্যই নিজেই পশু হাসপাতাল খোলার পরিকল্পনা করেন। যেমন ভাবা, তেমনই কাজ। সল্ট লেকের সেক্টর ৩-তে জিডি ব্লকে এই পশু হাসপাতাল।
পোষ্যরা হাসপাতালে ভর্তি হলে, তাদের অভিভাবকরাও যাতে থাকতে পারেন, তেমন ব্যবস্থাও রয়েছে এই হাসপাতালে। তবে শুধু বাড়ির পোষ্য নয়। রাস্তার অবলা বিড়াল, কুকুরদেরও সুস্থ করে তুলবে এই পশু হাসপাতাল। হাসপাতালের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। স্বস্তিকা যে নিজে একজন পশুপ্রেমী, তা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই বোঝা যায়। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মরফিকে নিয়ে একটি ছবি তুলে, তা ইনস্টাগ্রামে পোস্টও করেন স্বস্তিকা।
প্রসঙ্গত, এই হাসপাতালের নাম নিজের পোষ্য়ের নামেই রেখেছেন সায়ন্ত- মরফি ভেটরেনারি হাসপাতাল। অ্য়াম্বুলেন্সের পরিষেবারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই একটি কাঠবিড়ালিকে সুস্থ করে তুলেছে এই হাসপাতাল।